Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুজোয় পুর-উপহার সিসিক্যামেরা, ওয়াইফাই

রবিবার খড়্গপুর পুরভবনে এক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি এলাকায় সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করা হয়। শহরে প্রথম ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থার সূচনাও হয়েছে এ দিন। দু’টিরই উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। পরে তিনি শহরের বেশ কয়েকটি পুজোরও উদ্বোধন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:১০
Share: Save:

পুজোর শহরে নানা পরিষেবা প্রদানে উদ্যোগী হল খড়্গপুর পুরসভা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে চালু হল সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াইফাই। মহিলা দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে শহর জুড়ে একাধিক অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে পুর-উদ্যোগে।

রবিবার খড়্গপুর পুরভবনে এক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি এলাকায় সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করা হয়। শহরে প্রথম ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থার সূচনাও হয়েছে এ দিন। দু’টিরই উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। পরে তিনি শহরের বেশ কয়েকটি পুজোরও উদ্বোধন করেন।

রেলশহর খড়্গপুরে মাফিয়ারাজের সূত্রে নানা দুষ্কর্মের ইতিহাস বেশ পুরনো। পুজোর শহরেও চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের আশঙ্কা থাকে। আর রয়েছে বেপরোয়া যান চলাচল। বিশেষ করে বাইক, অটো, টোটোর দৌরাত্ম্য। এ সবে নজরদারি চালাতে ইন্দা, কৌশল্যা, পুরাতনবাজার, ঝাপেটাপুর, বড়বাতি, সেনচকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুরসভার উদ্যোগে আগেই বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। গত এপ্রিলে খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে সেগুলির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফায় সিসি ক্যামেরা বসছে মসলিনচক, পীরবাবা, গোলবাজার, ভাণ্ডারিচক-সহ বিভিন্ন এলাকায়। এ দিন পুরসভার কন্ট্রোলরুম থেকে ক্যামেরাগুলির উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। সেই সঙ্গে ইন্দায় খড়্গপুর কলেজ, পুরভবন ও মালঞ্চ ব্যাঙ্কপাড়ায় প্রাথমিকভাবে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “পুজোর সময়ে এই সিসি ক্যামেরায় সহজে নজরদারি চালানো যাবে। আর শহরবাসী নিখরচার ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। এর পরে গ্রিনসিটি প্রকল্পে শহরে আরও সিসি ক্যামেরা বসাব।”

পুজোর শহরে মহিলাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ৭-৮টি অস্থায়ী শৌচাগার গড়ার কাজও শুরু করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সুভাষপল্লি, মালঞ্চ, প্রেমবাজার-সহ বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় ওই শৌচাগার গড়ে তোলা হচ্ছে। পুরপ্রধান বলেন, “দূর-দূরান্ত থেকে মহিলারা এই শহরে পুজো দেখতে আসেন। সেই মতো শহরে অস্থায়ী ৭-৮টি শৌচাগার গড়ছি।” এতে মহিলারাও খুশি। খড়্গপুরের এক যুবতীর কথায়, “গত বছর ইন্দায় ঠাকুর দেখার সময় হাতের কাছে শৌচাগার না পেয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। এ বার আশা করি সমস্যা হবে না। পুরসভাকে ধন্যবাদ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE