Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

শহর সাজাতে পুর বরাদ্দে উঠছে প্রশ্ন

বছর দু’য়েক আগেই শহরে বসানো হয়েছিল এলইডি আলোর বাতিস্তম্ভ। পথবাতির খুঁটিতে জড়ানো হয় নীল-সাদা এলইডি আলোর চেন। আলোয় সাজানো হয়েছিল পুরীগেট উড়ালপুলও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৪৩
Share: Save:

পুর অভিযানের পরও খড়্গপুরের অনেক এলাকা এখনও মশার আঁতুড়ঘর। সে দিকে অবশ্য নজর নেই পুরসভার। পুজোয় রেলশহরকে আলোকমালায় সাজাতে লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ করেছে পুরসভা। খড়্গপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। জ্বর নিয়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গি রোধে মশা নিধনে আরও তৎপর না হয়ে কেন আলোকসজ্জায় এত টাকা ব্যয় করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসীরা।

বছর দু’য়েক আগেই শহরে বসানো হয়েছিল এলইডি আলোর বাতিস্তম্ভ। পথবাতির খুঁটিতে জড়ানো হয় নীল-সাদা এলইডি আলোর চেন। আলোয় সাজানো হয়েছিল পুরীগেট উড়ালপুলও। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবশ্য সে সব পথবাতির অধিকাংশই নিভে গিয়েছে। জ্বলে না অনেক এলইডি আলোর চেনও। ফের এ বার আলোয় শহর সাজাতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খড়্গপুর শহরের দশটি জায়গায় বসানো হবে চন্দননগর থেকে আনা এলইডি আলোর তোরণ। আলোয় ফুটে উঠবে কন্যাশ্রীর মতো নানা সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচারও।

খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “পুজোয় শহরের দশটি জায়গায় চন্দননগর থেকে আনা এলইডি আলোর বোর্ড বসানো হচ্ছে। কন্যাশ্রীর দরুন রাজ্যের নাম বিশ্বে দরবারে উঠে এসেছে। তাই আলোর মাধ্যমেও কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ফুটিয়ে তোলা হবে। এই আলোর বোর্ড প্রতি বছর ব্যবহার করা যাবে।’’ তিনি আরও জানান, পুরীগেট উড়ালপুলও নতুন করে সাজানো হবে। বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

যদিও শহরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, খড়্গপুরের বেশিরভাগ এলাকায় মশার উপদ্রবে টেকা দায়। নোংরা জমে রয়েছে অনেক জায়গার নিকাশি নালাতেও। এই পরিস্থিতিতে শহর সাফসুতরো রাখতে পুরসভা আরও বেশি তৎপর হলে ডেঙ্গিতে রাশ টানা সম্ভব হবে। খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী কংগ্রেসের রিতা শর্মা বলেন, “পুজোর আগেও ডেঙ্গি মুক্ত হয়নি শহর। এই পরিস্থিতিতে এ ভাবে আলোয় শহর সাজানোর পিছনে টাকা খরচ অপচয় আর কিছুই নয়। এই টাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল।”

শহরের বাসিন্দা সাংস্কৃতিক কর্মী লীনা গোপ বলেন, “পুজোর সময় শহর সাজানো ভাল উদ্যোগ। তবে মশা নিধনে পুরসভার আরও তৎপর হওয়া উচিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার ডেঙ্গি হয়েছিল। এখনও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই মেলেনি। ডেঙ্গি রোধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’ এ বিষয়ে পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “একসময় এই শহর অন্ধকারে ডুবে ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে শহরে অনেক আলো লাগানো হয়েছে। পুজোর আগে প্রতিটি ওয়ার্ডও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য টাকা পেয়েছে।’’ তিনি বলছেন, ‘‘পুজোয় শহরকে আলোয় সাজাতে কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা করে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE