বোজানো হয়েছে গর্ত। নিজস্ব চিত্র।
এলাকাবাসী বারবার বলার পরেও বোজানো হয়নি জলের পাইপ লাইনের জন্য খোঁড়া গর্ত। সেখানে গরু পড়ার পরেও শিক্ষা নেয়নি পুরসভা। শেষমেশ দুই বালকের মৃত্যুতে টনক নড়ল। তড়িঘড়ি ভরাট করা হল মারণ-গর্ত।
রবিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের ঝরিয়ায় খড়্গপুর পুরসভার পাম্প হাউসের কাছেই ওই গর্ত ভরাট করা হয়। দিন কুড়ি আগে খোঁড়া হয়েছিল ওই গর্ত। তারপর আর বোজানো হয়নি। শনিবার খেলতে গিয়ে স্থানীয় দুই বালক বছর সাতেকের রোহন মণ্ডল ও শেখ আনাজ জল ভর্তি ওই গর্তেই পড়ে যায়। পরে তাদের দেহ ভেসে ওঠে। ওই ঘটনার পরে পুরসভার দাবি ছিল, ছোট একটি ভালভ্ না পাওয়ায় পাইপ লাইনের কিছু কাজ বাকি ছিল। তাই এত দিন গর্ত বোজানো হয়নি। কিন্তু এ দিন তড়িঘড়ি গর্ত বুজিয়ে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, এ বার কীভাবে ভালভ্ পাওয়া গেল! খড়্গপুরের জল বিষয়ক পুর-পারিষদ তৈমুর আলি খান বলেন, “আমরা সকালেই ওই গর্ত বুজিয়ে দিয়েছি। তমলুকের যে ঠিকাদার সংস্থা এই কাজ করছিল তাদের শো-কজ করা হয়েছে।”
শনিবার রাতেই রোহন ও আনাজকে কবর দেওয়া হয়েছে বাড়ির অদূরে। রোহনের বাবা রশিদ মণ্ডল এ দিন বলেন, “দু’টি নিষ্পাপ প্রাণ কেড়ে নিয়ে এখন তাড়াতাড়ি ওই গর্ত বুজিয়ে দিল পুরসভা। আমি তো আর ছেলেকে ফিরে পাব না।’’ রোহনের জেঠিমা ইদান বিবি মণ্ডল, কাকা ইমরান মণ্ডলদেরও বক্তব্য, “পুরসভা আগে বলেছিল কাজ বাকি আছে তাই গর্ত বোজানো হচ্ছে না। গরু পড়ে যাওয়ার পরেও ওদের টনক নড়েনি। আমাদের ঘরের ছেলের প্রাণ যাওয়ার পড়ে গর্ত বোজানো হল?” শোকাহত আনাজের পরিবারেও একই সুর। আনাজের বাবা শেখ দিলবর আরও বলেন, “ছেলেটা প্রাণ দিয়ে শিক্ষা দিয়ে গেল। আর কেউ এ ভাবে গর্ত খুঁড়ে রাখবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy