পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের জাঠায় নামবে বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বামপন্থী গণসংগঠনসমূহের যৌথমঞ্চ ‘বেঙ্গল প্ল্যাটফর্ম অফ মাস অর্গানাইজেশন’-এর (বিপিএমও) ডাকে চলতি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরেও হবে এই জাঠা। থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় প্রমুখ। জাঠা শুরু হবে এক সময়ে বামেদের ‘গড়’ বলে পরিচিত গড়বেতা থেকেই। গড়বেতার খড়িকাশুলিতে জেলার কেন্দ্রীয় জাঠার সূচনা করবেন সূর্যকান্তবাবু। বুধবার বিপিএমও- র তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। জাঠাকে সামনে রেখে বামেরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাম নেতৃত্বও আশাবাদী, জাঠা সর্বাত্মক সফল হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ২২ অক্টোবর থেকে জেলাস্তরে জাঠা শুরু হবে। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত ব্লক এবং পুরসভায় অঞ্চল ও ওয়ার্ড ভিত্তিক জাঠা সংগঠিত হবে। আগামী ২৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় জাঠা এসে পৌঁছবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া হয়ে ওই জাঠা পৌঁছবে গড়বেতার খড়িকাশুলিতে। খড়িকাশুলিতে কেন্দ্রীয় জাঠা শুরু হওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, অমিয় পাত্র প্রমুখ। ওই দিনই জাঠা পৌঁছবে চন্দ্রকোনা রোডে। পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর শালবনির মণ্ডলকুপি থেকে জাঠা শুরু হবে। থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য
দীপক সরকার।
পরে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে ২৮ অক্টোবর জাঠা পৌঁছবে ডেবরায়। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর জাঠা পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেবে। বস্তুত, এক সময় গড়বেতার মতো এলাকায় কর্মসূচি সংগঠিত করার ‘ঝুঁকি’ এড়িয়েছে বামেরা। জেলার অন্যত্র জাঠা হলেও গড়বেতায় হয়নি। এ বার সেই গড়বেতা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় জাঠা শুরু হবে? গড়বেতার পরিস্থিতি কি এখন অনুকূল? জেলা সিপিএমের এক নেতার জবাব, “আগের থেকে অনেক ভাল।”
কেন্দ্রীয় জাঠা চারদিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করবে। এই কর্মসূচিতে যদি বাধা আসে? জেলা সিপিএমের ওই নেতার জবাব, “বাধা এলে প্রতিরোধ হবেই। যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেই লড়াইতে মানুষই শেষ কথা বলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy