সুদিন গিয়েছে। রাজ্য জুড়েই এখন কোণঠাসা দশা সিপিএমের। পরিস্থিতি দেখে কর্মীদের নিয়ে খোলামেলা আলোচনার আসর ‘পাঠচক্র’-এ ফিরছে দল। আজ, রবিবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরেও সিপিএমের সব শাখা কমিটিতে এই ‘পাঠচক্র’ হবে। দলের শাখা অফিসে কর্মীরা সকলে বসে রাজনীতির নিয়ে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। নির্দিষ্ট কোনও বিষয় ধরে আলোচনা নয়, বক্তাও কেউ নির্দিষ্ট কেউ নেই। কর্মীরা সকলেই নিজ নিজ বক্তব্য জানাবেন। হবে মত বিনিময়। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “রবিবার দলের সব শাখায় পাঠচক্র হবে। মূলত দলের গঠনতন্ত্র নিয়েই আলোচনা হবে।”
শেষ কবে একই দিনে সব শাখায় এমন কর্মসূচি হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না দলের অনেক প্রবীণ নেতাই। জেলা সিপিএমের এক প্রবীণ নেতা জানালেন, বহু বছর আগে এমন পাঠচক্র হত। পরে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোনও কোনও এলাকায় হলেও এমন কর্মসূচি হয়নি। দলীয় নেতৃত্ব একাংশ মনে করছেন, দুর্দিনে এটা উপযোগী পদক্ষেপ। কারণ, সিপিএমের মকো অনুশাসনে চলা দলে খোলামেলা আলোচনায় সুযোগ কমই থাকে। কিন্তু এই ধরনের পাটচক্রে দলের কর্মীদের মধ্যে মত বিনিময়ের একটা সুযোগ তৈরি হয়। যাতে আখেরে দল মজবুতই হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিশেষ দেরি নেই। এই ধরনে কর্মসূচির ফলে এলাকায় এলাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিবিড় সংযোগ গড়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। বসে যাওয়া কর্মীরা ফের সক্রিয় হবেন বলেও তাঁদের আশা। জেলা সিপিএমের এক নেতার মতে, “শাখায় শাখায় এমন কর্মসূচি এই সময়ের উপযোগী। এ রকম আলোচনা যত বেশি হবে তত ভাল। আলোচনার মাধ্যমেই তো বিভিন্ন দিক উঠে আসে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেতনাও বাড়ে।”
দলের এক সূত্রে খবর, ‘পাঠচক্র’-এ জলযোগেরও ব্যবস্থা থাকবে। তবে এলাহি আয়োজন নয়। কোথাও চা-বিস্কুট, কোথাও মুড়ি-চপ, কোথাও বা মুড়ি-চানাচুর! সব মিলিয়ে পাঠচক্র জমবে বলেই আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy