পুজোর পর জঙ্গলমহল অচল করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার ঝাড়গ্রামের সুভাষচকে দলীয় সভায় যোগ দেন তিনি।
লকেট বলেন, “পুজোর আগে সভা করে মানুষের সমস্যা করতে চাইনি। কিন্তু তৃণমূলের খুনের রাজনীতির জন্যই এই প্রতিবাদসভা।” সম্প্রতি বেলিয়াবেড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন ভোল গ্রামের বিজেপি কর্মী মাতাল দিগার। পরে এসএসকেএমে তাঁর মত্যু হয়। ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় ১১ জন নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ করেছেন নিহতের ছেলে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন জেলা বিজেপির ডাকে প্রতিবাদ সভায় লকেট ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, দক্ষিণবঙ্গের আঞ্চলিক দলীয় পর্যবেক্ষক তুষার মুখোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ প্রমুখ। লকেট দাবি করেন, বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কর্মীদের দেবীপক্ষের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে পুজোর পরে অবরোধ আন্দোলনে অচল হবে জঙ্গলমহল। ঘেরাও করা হবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের অফিস।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিৎ মাহাতো, জেলা যুব মোর্চা সভাপতি অনুরণ সেনাপতি-সহ ৩৯ জনের নামে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। লকেট বলেন, “পুলিশ আর কত আড়াল করবে! মানুষ পথে নেমে অত্যাচারী তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে টেনে বের করে পেটাবে। পুলিশ ক’জনের নামে মামলা করবে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy