পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল মাওবাদী নেতা মড়িরাম সিংহ সর্দার ওরফে দীপক। তার বিরুদ্ধে সাংসদকে খুন-ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ-সহ ১৩টি নাশকতার মামলায় রয়েছে। বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের দফতরে এসে আত্মসমর্পণ করে মড়িরাম ও তার স্ত্রী কবিতা সর্দার।
পুলিশ জানিয়েছে, মড়িরাম মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর স্কোয়াডে ছিল। মদন মাহাতো এখনও অধরা। ২০০১ সাল থেকে একের পর এক নাশকতার ঘটনায় দীপকের নাম জড়াতে শুরু করে। ২০০৭ সালে ঝাড়খন্ডের সাংসদ সুনীলকুমার মাহাতো খুনের ঘটনাতেও অভিযোগের তির ছিল তার দিকে। দীপকের বাড়ি বেলপাহাড়ির বাঁশপাহাড়িতে। আত্মসমর্পণের পরে এ দিন মড়িরাম বলছে, “এখন অতীত ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে চাই।”
বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে উপস্থিত ছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র, ডিআইজি (মেদিনীপুর) বাস্তব বৈদ্য প্রমুখ। আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) বলছিলেন, “এরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এলো। আগেই অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। এখনও কয়েকজন রয়ে গেল। ওদের কাছেও মূলস্রোতে ফিরে আসার আবেদন রাখছি।”
পুলিশের কাছে এ দিন আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জমা দেয় আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা। তারা পুনর্বাসন প্যাকেজের সুবিধাও পাবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘পুনর্বাসন প্যাকেজ’ বাবদ ২ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত, এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান ও প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাবে আত্মসমর্পণকারীরা। এ ছাড়া চিকিৎসার খরচ বাবদ প্রতি মাসে তারা ৫০০ টাকাও পাবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছিলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, ওরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুক। ওরাও তাই চেয়েছে। ওরা আবেদন করে বলেছে, আমরা ভাল হতে চাই। আমরা ভাল থাকব।”
বছর কয়েক আগে থেকেই পুলিশের কাছে একে একে মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছে। জঙ্গলমহলে কী নতুন করে মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ার কোনও আশঙ্কা রয়েছে? আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) বলেন, “জঙ্গলমহলে নেই। ঝাড়খন্ড সীমানায় মাওবাদী তৎপরতা রয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি।” জেলা পুলিশের এক কর্তার সংযোজন, “ওরা জঙ্গলমহলে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু অভিযান জারি থাকায় ঢুকতে পারছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy