Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বৈশাখ বরণে প্রস্তুত শহর

বসন্তের শেষ, দাবদাহের শুরু। প্রতি বার এই সময়ই আগমনী বার্তা নিয়ে আসে নতুন বছর। আর সেই পয়লা বরণে আয়োজনের অন্ত থাকে না। বাংলা বছরকে স্বাগত জানাতে এ বারও প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর।

মহড়া: নববর্ষের প্রস্তুতি মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হল প্রাঙ্গণে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

মহড়া: নববর্ষের প্রস্তুতি মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হল প্রাঙ্গণে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৮
Share: Save:

বসন্তের শেষ, দাবদাহের শুরু। প্রতি বার এই সময়ই আগমনী বার্তা নিয়ে আসে নতুন বছর। আর সেই পয়লা বরণে আয়োজনের অন্ত থাকে না। বাংলা বছরকে স্বাগত জানাতে এ বারও প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর।

আজ, শনিবার ১৪২৪ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনে মেদিনীপুরে থাকছে নানা স্বাদের অনুষ্ঠান। কোথাও কচিকাঁচাদের নাচগান, কোথাও বা পুরনো এবং নতুন দিনের বাংলা গানের আসর। থাকছে নাচের অনুষ্ঠানও। শুক্রবার দিনভর শহর জুড়ে চলেছে তারই প্রস্তুতি।

ইতিহাস বলে বাংলা নববর্ষের সূচনা হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে। বর্ষবরণে জাঁকজমকে তাই এখনও ধরা পড়ে সাবেক ছবিটা এখনও বদলায়নি। শিশু সংগঠন ‘সব পেয়েছির আসর’-এর মেদিনীপুর অঞ্চলের উদ্যোগে শনিবার দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে প্রভাতফেরি বেরোবে। বর্ণাঢ্য এই প্রভাতফেরি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করবে। বিকেলে বিদ্যাসাগর হলের মাঠেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। পরিবেশিত হবে ছড়া ব্যায়াম, সমবেত নৃত্য প্রভৃতি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়েই এই অনুষ্ঠান। আসরের অঞ্চল সংগঠক জীতেশ হোড় বলছিলেন, “প্রতি বছরের মতো এ বছরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই দিনে।’’

জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তিসঙ্ঘের উদ্যোগেও দিনটি পালিত হবে। সকালে অরবিন্দ স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্রভাতফেরি বেরোবে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। ‘মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম’-এর উদ্যোগেও রয়েছে রঙিন অনুষ্ঠানের আয়োজন। ‘বৈশাখী’ নামের এই অনুষ্ঠান হবে মেদিনীপুর কলেজ প্রাঙ্গণে। ফোরামের পক্ষে রাজনারায়ণ দত্ত বলছিলেন, “পয়লা বৈশাখের একটা আলাদা গন্ধ রয়েছে। এই দিনটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। এ বারও নানা অনুষ্ঠান হবে।’’ সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘ক্যামেলিয়া’-র উদ্যোগেও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে। মেদিনীপুর কলেজের সামনে নেতাজী মূর্তির পাদদেশের সামনে সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। আগে নেতাজী মূর্তির পাদদেশের সামনে একটি ক্যামেলিয়া গাছ ছিল। সেই গাছের নামেই সংস্থার নামকরণ হয়। অন্যতম উদ্যোক্তা বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অলোকবরণ মাইতির কথায়, “কথায়-গানে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সকলে আসেন। দারুণ লাগে।’’

সব মিলিয়ে শহর এখন উৎসবমুখর, ফুরফুরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali New Year Celebration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE