নতুন হাঁস খামার তৈরি হবে শালবনিতে। শনিবার শালবনিতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের এক বৈঠকে নতুন খামার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শালবনিতে পশু খামার রয়েছে। ওই চত্বরেই নতুন খামারটি হবে। এ দিন বৈঠক শেষে প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “শালবনিতে খামারে প্রায় ৭৫০ একর জায়গা রয়েছে। সেখানেই নতুন করে একটি হাঁসের খামার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্যে এমন খামার রয়েছে পাঁচটি।”
দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া— এ দিন শালবনির বৈঠকে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের চার জেলার কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, “চারটি জেলার পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। মেদিনীপুরে যে হাঁসের খামার রয়েছে তার উত্পাদনও বাড়ানো হবে।” মেদিনীপুর শহরের অশোকনগরের কাছে রয়েছে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। এক সময় এই খামার থেকে যে সংখ্যক হাঁস-মুরগির ছানা মিলত, তা দিয়েই জেলার চাহিদা মিটে যেত। তবে, এখন পরিস্থিতি অন্য। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে এখন হাঁস-মুরগির ছানা বিলি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরেই সরকারি প্রকল্পগুলোর চাহিদা মেটাতে বাইরের জেলা থেকে ছানা আনতে হচ্ছে। প্রাণীসম্পদ দফতরের এক কর্তা বলেন, “হাঁসের ছানার চাহিদা বাড়ছে। শালবনিতে নতুন হাঁসের খামার হবে সব দিক থেকেই সুবিধে। আরও বেশি ছানা মিলবে।”
শালবনির প্রস্তাবিত খামারটিতে আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে বলে দফতরের এক সূত্রে খবর। কয়েকটি ব্রোডার শেড থাকবে। এর মধ্যে থাকবে লোয়ার ইউনিট, গ্রোয়ার ইউনিট, ব্রুডিং ইউনিট। এখানে কত হাঁসের ছানা থাকতে পারে? দফতর সূত্রে খবর, খামারটি একটু বড় হলে এক-একটি লোয়ার ইউনিটে প্রায় এক হাজার করে হাঁস থাকবে। এক-একটি গ্রোয়ার ইউনিটেও প্রায় এক হাজার করে হাঁসের ছানা থাকতে পারে। অন্য দিকে, ব্রুডিং ইউনিটে প্রায় পাঁচ হাজার হাঁসের ছানা থাকতে পারে। দফতরের ওই কর্তার কথায়, “নতুন খামারটির পরিকাঠামো অত্যাধুনিক করার সব রকম চেষ্টা হবে। ল্যাবরেটরি থেকে মিক্সিং ইউনিট— সব কিছুই রাখার চেষ্টা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy