গত এক বছরে অবসর নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৮০০ প্রধান শিক্ষক। সেখানে নতুন করে কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে সমস্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় এক হাজার স্কুল। জেলার হিসাবে প্রায় ৩৩ শতাংশ স্কুলেই প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। আর তা নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষক মহলে।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষক মহল। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জেলা বিদ্যালয়গুলিতে অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে। এই মর্মে তাঁরা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি জমাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হাজার খানেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ নতুন করে নিয়োগের পরিবর্তে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না।’’
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক, কাঁথি, হলদিয়া ও এগরা—চার মহকুমায় ৪৬টি চক্রে মোট ৩২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল প্রায় ৫০০টি শূন্যপদের জন্য। সে সময় ৩৫৩ জন ডিএড উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক আবেদন করেছিলেন। সেই অনুযায়ী তাঁদের প্রত্যেকেরই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানস দাস। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ সালের নভেম্বরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তখনও প্রায় শ’দেড়েক পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এরপর আরও প্রায় আটশো প্রধান শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ফলে বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০০।’’
এ দিকে গত এক বছরে ডিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। গত বছর মার্চের পরেই ১৮০০ প্রাথমিক শিক্ষক ডিএড উত্তীর্ণ হয়েছেন। চলতি বছর অগস্টে আরও ৪০০০ প্রার্থী ডিএড উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলে এ বার আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় পদ পূরণে।
সে ক্ষেত্রে সংসদ কেন ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করছে না? এ প্রশ্নের উত্তরে মানসবাবু বলেন, ‘‘চেষ্টা চলছে এ বছরই ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করার। তবে যাঁরা অগস্টে ডিএড উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা এখনও শংসাপত্র হাতে পাননি। আমরা কিছুটা সময় নিচ্ছি, যাতে তাঁরা সকলেই আবেদন করতে পারেন।’’
এ দিকে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বহু স্কুলেই সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকরা। মিড-ডে মিল বা অন্যান্য কাজ চালানোর ক্ষেত্রে প্রতি পদেই অসুবিধা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের অভাব পূরণ করছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। অথচ অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলেও তাঁরা প্রধান শিক্ষকের সমতুল বেতন ও ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ।
হলদিয়ায় ফুটবল। আইওসি হলদিয়া রিফাইনারি এমপ্লয়িজ ক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় ৮টি দলকে নিয়ে ফুটবল খেলা হল। রবিবার হলদিয়া টাউনশীপে আইওসি স্টেডিয়ামে এই ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ৫৬তম ইন্ডিয়ান অয়েল ডে উপলক্ষে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ অগস্ট আইওসি হলদিয়া রিফাইনারি এমপ্লয়িজ ক্লাবের পরিচালনায় বিভাগীয় নাট্যপ্র তিযোগিতা হয়েছে। শনিবার পুরস্কার বিতরণী ও আমন্ত্রিত নাটক পরিবেশিত হয়েছে। আর রবিবার সকাল থেকে ফুটবল খেলা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy