ফের প্রশ্নের মুখে মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবা। এ বার অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হওয়া আটজন মহিলাকে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সাফ জানিয়েছেন, সাধারণ প্রসবের জন্য কয়েকদিন আগে থেকে ভর্তি রাখা সম্ভব নয়।
বুধবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি আটজন প্রসূতিকে ছুটি দেওয়ার পড়েই শোরগোল পড়ে যায়। ওই প্রসূতিদের পরিজনেরা বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার দফতরে লিখিত অভিযোগও জানান। পরে সুপার তন্ময়বাবু বলেন, ‘গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে প্রসূতিদের মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সাধারণ প্রসব ব্লকে হওয়ার কথা। মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে খুব বেশি শয্যা নেই। ফলে, সাধারণ প্রসবের জন্য দু’-তিন দিন ভর্তি রাখা মুশকিল।’’
যাঁদের বড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরই একজন বর্ষা অধিকারী মিশ্র। নারায়ণগড়ের বাসিন্দা বর্ষাদেবীর কাকা ভোলানাথ অধিকারী বলছিলেন, ‘‘বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ ভাইঝিকে নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসি। যখন ভর্তি করানো হয়, তখন কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররাই বর্ষাকে দেখেন। তারপর বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ জানতে পারি, বর্ষাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।’’ ভোলানাথবাবুর দাবি, পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, যে চিকিৎসকের অধীনে বর্ষা ভর্তি হয়েছিলেন, সেই চিকিৎসকের কাজের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভোলানাথবাবু বিস্ময়, ‘‘মেডিক্যাল কলেজেও এমনটা হয় জানা ছিল না।’’
শুধু বর্ষা নন, একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে আরও সাতজন প্রসূতি। তাঁদের পরিজনেদের বক্তব্য, ভর্তি নেওয়ার পরেও প্রসূতিদের যদি এ ভাবে ছুটি দেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতালের উপর সাধারণ মানুষের ভরসা কমে যাবে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে ঠিক কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে অনেকেই ব্লকের হাসপাতালে যান না। সরাসরি মেদিনীপুর মেদিক্যালে এসে ভর্তি হন’। তবে তিনি মানছেন, ‘ হাসপাতালে এসে কোন প্রসূতি ভর্তি হলে তাঁকে এভাবে ছুটি দিয়ে দেওয়া ঠিক নয়’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy