নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে কাজ হারিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের সাহায্যে ‘সমর্থন’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে সুবিধে পেতে সমর্থন লাগবে পুলিশেরও। আবেদনকারী শ্রমিক সত্যিই গত ৮ নভেম্বরের পরে কাজ হারিয়ে রাজ্যে ফিরেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার আইসি কিংবা ওসি। পুলিশের তরফে বিডিওকে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই ওই শ্রমিকের আবেদন জেলায় পাঠানো যাবে। প্রকল্পের জন্য জেলাস্তরে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ব্লক থেকে আসা আবেদন সেই কমিটি খতিয়ে দেখবে। তারপরই সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের নামের তালিকা রাজ্যে পাঠানো হবে।
এ বারের বাজেটে রাজ্য সরকার ‘সমর্থন’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। প্রকল্পের জন্য বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ৫০ হাজার কাজ হারানো শ্রমিককে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আপাতত, রাজ্যের ১০টি জেলায় এই প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতো দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, হাওড়ায় জেলায় কাজহারারা উপকৃত হবেন।
‘সমর্থন’ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়েছে। জেলাস্তরের এই বৈঠকের পরে ব্লকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জেলায় রাজ্য সরকার যে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছে, তাতে রয়েছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অজিত মাইতি এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। অজিতবাবু মানছেন, “কাজহারা শ্রমিকদের প্রকল্পের সুবিধে পেতে আগে ব্লকে আবেদন করতে হবে। বিডিও-র পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্লকের আইসি-ওসি খতিয়ে দেখবেন ওই শ্রমিক সত্যিই ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন কি না এবং নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে সমস্যায় পড়ে এ রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন কি না।’’ অর্থ সাহায্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। সেই সব প্রকল্পের সুবিধে পেতেও ব্লকে আবেদন করতে হয়। পরে ব্লক থেকে আবেদন জেলায় আসে। তবে এ ভাবে পুলিশের ‘শংসাপত্র’ লাগে না। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার মতে, “এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ, আবেদনকারী শ্রমিক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য একা বিডিও-র পক্ষে যাচাই করা সম্ভব নয়। পুলিশ থাকায় কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy