প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল আত্মহত্যা। কিন্তু তার কোনও কারণ তদন্তকারীরা খুঁজে পাননি। আর তাই আনন্দপুরের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কন দে-র মৃত্যুর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
কিন্তু কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
এক তদন্তকারীর জবাব, “হতে পারে মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে ওই ছাত্র কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিল। অল্পবয়সীদের কেউ কেউ এমন করেই থাকে। হতে পারে তা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। জলে ভিজে প্লাস্টিক ওই ছাত্রের মুখের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যায়। তারপর শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তার।’’ ময়নাতদন্তের রিপোর্টও জানাচ্ছে, শ্বাসরোধের ফলেই মারা গিয়েছে অঙ্কন। তবে আত্মহত্যা নয়, এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারী ওই পুলিশকর্তার কথায়, “শৌচাগারে গিয়ে আত্মহত্যা করার কোনও দরকার ছিল না। চাইলে সে নিজের ঘরেই যখন-তখন আত্মহত্যা করতে পারত।’’
গত শনিবার দুপুরে আনন্দপুরের চকবাজারে বাড়ির দোতলার শৌচাগারে মেলে আনন্দপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কনের দেহ। মেঝেতে চিৎ হয়ে পড়ে থাকা দেহটির মাথা প্লাস্টিকে ঢাকা ছিল। গলায় দড়ির ফাঁস ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এর পিছনে ব্লু হোয়েল জাতীয় কোনও অনলাইন সুইসাইড গেমের প্রভাব থাকতে পারে বলেও মনে করছিল পুলিশ। কারণ, ঘটনার দিন সকালে স্কুলে না গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাবার কেব্ল ব্যবসার অফিসঘরে কম্পিউটারে ডুবে ছিল অঙ্কন। সেখানে থেকে বাড়ি ফিরে স্নান করতে গিয়েই ঘটে ওই ঘটনা।
তবে ওই কম্পিউটার খুঁটিয়ে দেখে কিছুই পায়নি পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর সঙ্গে ব্লু হোয়েল কিংবা অন্য কোনও কম্পিউটার গেমের সম্পর্ক নেই। অঙ্কনের পরিজন, সহপাঠী থেকে স্কুলশিক্ষক, গৃহশিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেও তেমন কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, মানসিক অবসাদ থেকেও এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। এর পিছনে প্রেমঘটিত কোনও কারণও নেই। তাই আপাতত দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “এমন ঘটনার ক্ষেত্রে কিছু সূত্র উঠে আসে। সেই সব সূত্র ধরেই তদন্ত এগোয়। তদন্ত চলছে। নিশ্চয়ই কিনারা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy