Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পথ অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি এলাকায়। শুক্রবার তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী দলীয় পতাকা নিয়ে কুলটিকরি এলাকায় মিছিল করার সময় শাসকদলের অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৬ ০১:২২
Share: Save:

বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি এলাকায়। শুক্রবার তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী দলীয় পতাকা নিয়ে কুলটিকরি এলাকায় মিছিল করার সময় শাসকদলের অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র-র গোষ্ঠীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ মাহাতোর গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের।

এ দিন বিকাশবাবুর অনুগামী স্থানীয় নেতা রমেন দাস ও গয়ারাম গুছাইতের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল শুরু হতেই বাধা দেন সোমনাথ-গোষ্ঠীর লোকেরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিস্তর গোলমাল হয়। সকাল ৯টা নাগাদ রমেনবাবুর নেতৃত্বে কুলটিকরি এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেন বিকাশ-গোষ্ঠীর লোকজন। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই সময় অবরোকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে জখম হন ৭ পুলিশ কর্মী। এরপর সকাল ১১ টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে লাঠিপেটা করে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩০ জন তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, “প্রাক্তন কিছু সিপিএম ও বিজেপি-র লোকজন এখন তরমুজ-তৃণমূল হয়েছে। ওরা আমাদের দলের পতাকা নিয়ে মিছিল করায় বাধা দিয়েছিলেন দলের কর্মীরা। তাতে ওই তরমুজ-তৃণমূলীরা পথ অবরোধ করেছিল।” যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ মাহাতো জানিয়েছেন, রমেন দাস ও গয়ারাম গুচ্ছাইত দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার আনন্দে রমেনবাবুর নেতৃত্বে দলের কর্মীরা মিছিল করছিলেন। কী গোলমাল হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো বলেন, “সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যা মেটাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE