প্রস্তুতি: দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়ন পেশের আগে প্রকাশ করা হবে না প্রার্থী তালিকা। হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুর নির্বাচনে আপাতত এটাই বামফ্রন্টের ‘স্ট্রাটেজি’।
কিন্তু কেন? সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির সাফ কথা, ‘‘রাজনৈতিকভাবে প্রচুর মানুষের সমর্থন থাকলেও হলদিয়া এবং পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিচ্ছে। পুলিশকে দিয়েও ভয় দেখানো হচ্ছে, প্রার্থী হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে আক্রমণের আশঙ্কা করছি।’’
শাসক তৃণমূলের তরফে দুই পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলেও এখনও প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই বিজেপি, কংগ্রেসেও। আগামী ১৩ অগস্ট হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভার ভোট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হবে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া। বিধানসভার মতো পুরভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হবে কিনা, তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। নিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘এ বিষয়ে দলের উঁচু তলার নেতাদের নির্দেশে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
১৮ ওয়ার্ড বিশিষ্ট পাঁশকুড়া পুরসভার একটি আসন বাদে বাকি সমস্ত আসনে গত বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করেছে তৃণমূল। হলদিয়া পুরসভার প্রার্থী তালিকাও এক প্রকার স্থির হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখনও।
শনিবার তমলুকে সিপিএম জেলা কার্যালয়ে দলের সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভার নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। আলাদা ভাবে হলদিয়াতেও বৈঠক করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে পালাবদলের পর হলদিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০১২ সালের পুরভোটে জয়ী হয়েছিল বামফ্রন্ট। সে বার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিলেমন বাম নেতৃত্ব। ২৬ টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুরবোর্ড গঠনের একবছরের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে বদলে যায়
ক্ষমতার হাত।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে বিরাট ব্যবধানে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। তবে গোটা হলদিয়ায় জুড়ে শাসকদলে দাপট অব্যাহত। বরং শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে বামেরা খাতা খোলায় আরও নড়চড়ে বসে শাসকদল। বামফ্রন্টের অভিযোগ, তাঁদের নেতা-কর্মীরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরা আগেভাগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চাইছেন না। পাঁশকুড়াতেও একই নীতি নিচ্ছেন বামেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy