পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক শহর সম্প্রসারণে ফের উদ্যোগী হল পুরসভা ও প্রশাসন। ২০ ওয়ার্ডের তমলুক পুরসভার সঙ্গে সংলগ্ন উত্তর সোনামুই, পিপুলবেড়িয়া-১, বিষ্ণুবাড় পঞ্চায়েতের ১৯টি মৌজাকে যুক্ত করে পুরসভার আয়তন বৃদ্ধির পরিকল্পনা হয়েছে। এর ফলে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হবে।
পুরসভার তরফে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে এ সম্পর্কে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘পুরএলাকা সম্প্রসারণের শহর সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার অধীনে থাকা ১৯ টি মৌজাকে যুক্ত করতে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে।’’
কিন্তু হঠাৎ এমন উদ্যোগ কেন?
পুরসভা ও প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাচীন পুরসভাগুলির অন্যতম তমলুক পুরসভা গঠিত হয়েছিল ১৮৬৪ সালে। ২০০২ সালে মেদিনীপুর জেলা ভাগ হওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর শহর হিসাবে স্বীকৃতি পায় তমলুক। কিন্তু পুরসভা হিসাবে এখনও তমলুক রাজ্যে (ডি) ক্যাটাগরির। ফলে আর্থিক বরাদ্দ কম। যে জন্য উন্নয়নের গতিও কম। পুর এলাকা বাড়লে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর আদায়ের পরিমাণও বাড়লে পুরসভার আয় বাড়বে। পাশাপাশি আয়তন ও লোকসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে পুরসভার মানোন্নয়ন ঘটলে আর্থিক বরাদ্দও বাড়বে। যা পুরবাসীকে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, যে সব মৌজাকে যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল পিপুলবেড়িয়া পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তবসান, নকিবসান, পিপুলবেড়িয়া, পায়রাচালি, চাপবসান, গৌরাঙ্গপুর, ভুবনেশ্বরপুর এবং উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েতের নিমতৌড়ি, কুলবেড়িয়া, গণপতিনগর, উত্তর সোনামুই, চক-শ্রীকৃষ্ণপুর, ভান্ডারবেড়িয়া, আজানগেছিয়া, উত্তর নারিকেলদা, উত্তর সাউতানচক, বিষ্ণুবাড় পঞ্চায়েতের জয়রামবাটি, কামারবাড় ও পদুমপুর-২ পঞ্চায়েতের কাকগেছিয়া। আগের প্রস্তাব অনুযায়ী মৌজার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ধলহরা ও উত্তর রাউতৌড়ি মৌজাকে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে উত্তর সাউতানচক মৌজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy