প্রস্তুতি: বেলপাহাড়ির এই রথই পথে নামবে রথযাত্রায়। নিজস্ব চিত্র
ফুটবলের পাশাপাশি পুলিশ-জনতার জন সংযোগ কর্মসূচিতে এ বার সামিল হতে চলেছে রথযাত্রাও।
২৫ জুলাই, রবিবার রথযাত্রা। ওই দিন জনতা-পুলিশের জনসংযোগের রথযাত্রা দেখবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির মানুষ। এর জন্য বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি ও বেলপাহাড়ি থানার উদ্যোগে ১৯ ফুটের একটি সুদৃশ্য রথ তৈরি হয়েছে। রথের দিন বেলপাহাড়িতে পুলিশের জনসংযোগ কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত।
এক সময় অশান্ত জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে নমো নমো করে রথযাত্রা হত। পরে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরলেও রথযাত্রায় জাঁকজমকের বিষয়টা এতদিন ছিল না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছোটখাটো বেশ কিছু রথ পথে নামলেও রথযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে যে মেলা তা এখানে ছিল না। পুলিশ-প্রশাসন ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে এবার সেই অভাবও মিটতে চলেছে। তাই রথযাত্রা উৎসবকে ঘিকে মেতে উঠেছে বেলপাহাড়ি।
গতবার পুলিশের উদ্যোগে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে রথ তৈরি হয়েছিল। তাতে বিপুল সাড়া মেলে। এরপরই বাসিন্দাদের তরফে প্রতি বছর রথযাত্রা করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়। স্থায়ী রথ গড়তে এগিয়ে আসেন বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সম্পন্ন কিছু মানুষ। ঝাড়গ্রামের একটি সংস্থাকে রথ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। চারটি লোহার চাকার উপরে কাঠের রথটিতে সূক্ষ্ম কারুকাজ রয়েছে। রথের দু’পাশে দারুশিল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দের মূর্তি। রথটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রথযাত্রার দিন ঝাড়গ্রাম গৌড়ীয় মঠের মহারাজরা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ নিয়ে আসবেন। বেলপাহাড়ি পরিক্রমা করার পরে কমিউনিটি হল লাগোয়া মাঠে রথ রাখা হবে। আটদিন সেখানেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার নিত্যসেবা ও সন্ধ্যারতি হবে। বেলপাহাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি দীপক সরকার জানান, ওই দিন রথযাত্রা শেষ হলে বেলপাহাড়ি কমিউনিটি হলে জনসংযোগ কর্মসূচিতে এলাকার মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে। শিশুদের জামাকাপড় বিতরণ করা হবে। উল্টোরথের দিনেও সকলকে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে।
জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “এলাকাবাসী ও পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বেলপাহাড়িতে বড় মাপের রথযাত্রা হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে জনসংযোগের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে।”
বেলপাহাড়ির বাসিন্দা শান্তনু সিট, শকুন্তলা পাত্র রথাযাত্রা ঘিরে উচ্ছ্বসিত। তাঁদের কথায়, “এলাকায় শান্তি ফিরলেও এখানে এতদিন রথযাত্রায় জাঁকজমক ছিল না। মেলাও বসত না। এ বার সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy