ঋষিতা মাইতি
চিকিৎসক হতে চায় ঋষিতা
আশা ছিল। তবে এতটা ভাল ফল হবে, আশা করেনি ভগবানপুরের বাড়ভগবানপুর গ্রামের ঋষিতা মাইতি। তবে ফল বেরোতে দেখা গেল ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে অষ্টম হয়েছে মংলামাড়ো মঙ্গলা অ্যাকাডেমির এই ছাত্রী। তার বাবা প্রবীরকুমার মাইতি এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। মা আল্পনা মাইতি মনোহরপুর বান্ধব হাই স্কুলের শিক্ষিকা।
ঋষিতার প্রাপ্ত নম্বর, বাংলা ৯৪, ইংরেজি ৯৫, অঙ্ক ১০০, ভৌতবিজ্ঞান ৯৯, জীবনবিজ্ঞান ৯৮, ইতিহাস ৯৮, ভূগোল ৯৯। ঋষিতার কোনও ঐচ্ছিক বিষয় ছিল না। বাবা প্রবীরকুমার মাইতির কথায়, ‘‘স্কুলে পরীক্ষার আগে বিশেষ কোচিং হত। সেটা ওই কাজে লেগেছে।’’ ঋষিতা জানিয়েছে, টেস্ট পরীক্ষায় ৬৬২ নম্বর পাওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের লেখার ভক্ত ঋষিতার রোজ সকালে আধ ঘণ্টা খবরের কাগজ পড়া চাই-ই। অবসরে নাচ, গান নিয়ে সময় কাটে। মোহনবাগানের অন্ধ ভক্ত ঋষিতা অবশ্য ভালবাসে ক্রিকেটও।
এ দিন ফল প্রকাশের পর ঋষিতা জানায়, তার সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব তার বাবা-মা আর শিক্ষকদের। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। ঋষিতার কথায়, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতি এখন প্রতিদিনের খবর। নিজে চিকিৎসক হয়ে এই ছবিটা বদলাতে চাই।’’
ক্যুইজেই সময় কাটে স্নেহার
স্নেহা সামন্ত
মহিষাদল গয়েশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়য়ের ছাত্রী স্নেহা সামন্ত এ বার মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় নবম স্থান দখল করেছে। স্নেহার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।
ছটফটে স্নেহা স্কুলে খুব জনপ্রিয়। ক্যুইজ পাগল স্নেহার কথায়, ‘‘এই ক্যুইজ থেকেই অনেক কিছু জানতে পেরেছে। সেগুলো আমার পড়াশোনায় খুব সাহায্য করেছে।’’ স্নেহা অঙ্কে ১০০, জীবনবিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯ পেয়েছে। বাবা ভজহরি সামন্ত স্কুলের শিক্ষক। মেয়েকে নিয়মিত টেক্সট বই পড়ার পরামর্শ দিতেন তিনি। স্নেহার কথায়, ‘‘বাবা মা আমায় সবসময় উৎসাহ দিতেন। স্কুলের টেস্টে ভালো ফল হওয়ার পর বাবা মা ও স্কুলের শিক্ষিকারা বলতেন, একটু চেষ্টা করলে আরও ভালো হবে। সেই চেষ্টারই ফল এটা।’’ স্বামী বিবেকানন্দর ভক্ত স্নেহা জানায়, বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে। স্নেহার কথায়, ‘‘বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব। চিকিৎসক হতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy