ধুয়েমুছে: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ সড়কের একাংশ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
জলের তোড়ে নদীবাঁধ তো বটেই, ভেঙে দিয়েছে রাস্তাও। রাস্তাটি আবার দাসপুর-২ ব্লকের সঙ্গে জেলার অনান্য অংশের সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র পথ। সেই রাস্তা থেকে জল সরে গেলেও সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। ফলে দুর্ভোগ চলে সমানে।
গত ২৬ জুলাই রাতে ঘাটালের প্রতাপপুরে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল দাসপুরের-২ ব্লকের দশটি অঞ্চল। জলের তোড় এতটাই ছিল যে, দাসপুরের সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় তেঁতুলতলা এলাকায় সড়কের প্রায় তিনশো ফুট পিচ রাস্তা ভেঙে যায়। দিন কুড়ি ধরেই ওই সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ। পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত সাহা বলেন, “রাস্তায় এখনও জল থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জল কমলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
শুধু সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ সড়কই নয়, এমন হাল ঘাটাল-রানীচক সড়কেরও। স্থানীয় কামালপুর এলাকায় সড়কের একাধিক অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে ওই সড়কেও যান চলাচল বন্ধ। সড়কটি আবার জেলা পরিষদ দেখভাল করে। তাই কবে সংস্কার হবে-সেই চিন্তায় স্থানীয়েরা। স্থানীয় কদমখালি-মানিকদীপা, রানীচক-চাঁইপাট, উত্তবাড়ের পঞ্চাননতলা থেকে আজুড়িয়া, ভুঁইয়াড়া-বেনাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তার দশাও তথৈবচ। কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে, কোথাও বা মোরামের কোনও চিহ্নই নেই।
জল কমার সঙ্গে সঙ্গে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দাসপুর। তবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি বেহাল থাকায় পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। দাসপুর-২ ব্লকে কোনওগাড়ি না ঢোকায় সমস্যায় ব্যবসায়ীরাও। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে মোহন বাগ বলেন, “দাসপুর-২ ব্লকের মূল সড়কগুলি সংস্কার জরুরি।” সমস্যার কথা স্বীকার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “মুখমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
তবে টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক। ক্ষীরপাই সংলগ্ন মনসাতলা চাতালে জল উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “কেঠে নদীর জল উপচে মনসাতলার কাছে কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তার জেরেই যান চলাচল বন্ধ। শিলাবতী নদীর জলও বাড়ছে।আমরা সতর্ক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy