পরিকল্পনা হয়েছিল বছর দু’য়েক আগেই। ইতিমধ্যেই জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কলাইচণ্ডী খালে রাবার ড্যামের কাজও এগিয়েছে অনেকটাই। এই বাঁধ তৈরি হলে বছরভর জলের জোগান বাড়বে বলে আশা।
রাজ্যের মধ্যে প্রথম জেলায় এমন বাঁধ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাঁধ তৈরি হলে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। বাঁধে জল থাকলে এলাকার জলস্তরের উচ্চতাও ঠিক থাকবে। ফলে গরমেও বাড়ির নলকূপ থেকেই জল মিলবে। যা শুনে খুশি বাড়ুয়ার বাসিন্দা রঞ্জিত দণ্ডপাট বলেন, “এতদিন শুধুমাত্র বর্ষায় ধান চাষ করতাম। তাও সব বছর ভাল চাষ হত না। বাঁধ হলে রবি মরসুমেও চাষ করতে পারব। এখন থেকেই সেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছি।”
নদী বা খালে এতদিন শুধুমাত্র সিমেন্টের বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করা হত। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১০ মিটার দীর্ঘ সিমেন্টের বাঁধ তৈরি করতে ন্যূনতম ২০-২২ লক্ষ টাকা খরচ হত। মাঝেমধ্যে স্ল্যুইস গেট বিকল হলে হত সমস্যাও। রাবার ড্যামের ক্ষেত্রে সে ঝক্কি নেই। ১০ মিটার রাবার ড্যাম তৈরি করতে খরচ ১১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী রাবারে বাতাস ভরে প্রয়োজনীয় উচ্চতায় জল রাখতে হবে। উপভোক্তাদের নিয়ে তৈরি কমিটিই সেই কাজটি করবেন। চাষিরা প্রয়োজনীয় জল তুলতে পারবেন।
ওড়িশায় আগেই এ ধরনের প্রকল্প তৈরি হয়েছে। রাজ্যেও প্রকল্পটি চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে সেচ দফতর। সব কিছু জানার পর, এই প্রকল্পে অর্থও মঞ্জুর করে সরকার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাবার ড্যামের পিছনে ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে ০.৫ হেক্টর মিটার জল জমিয়ে রাখা যাবে। প্রতিদিন এই পরিমাণ জল ধরতে সক্ষম বাঁধ থেকে ২৫ হেক্টর এলাকায় সেচ দেওয়া যাবে বলে মলয়বাবু জানান। বাঁধের কাজ শেষ হলে রবি মরসুমেও আলু, সব্জি চাষ করতে পারবেন চাষিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy