পাশে: শনিবার দুরমুঠে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তা শুভেন্দু। মঞ্চে রয়েছেন প্রার্থী চন্দ্রিমাও। ছবি: শান্তনু বেরা
উন্নয়ন আর সংগঠনে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠছে না বলেই বিরোধীরা ‘অপ্রমাণিত’ বিষয় নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার করছে— দক্ষিণ কাঁথি উপ-নির্বাচনের প্রচারে এমনই বললেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
দিন কয়েক আগেই নারদ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘স্টিং অপারেশন’ যাঁদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছিল তাঁরা প্রত্যেকেই গত বিধানসভা ভোটে জিতে এসেছেন। মানুষের আদালতে তাঁরা জয়ী। আর সে বারের হেরে যাওয়া প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ বার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের প্রার্থী। তাঁকে জিতিয়ে দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে মনে করছেন শুভেন্দু।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক শিবির। শনিবার দুপুরে দুরমুঠ এলাকায় একটি কর্মিসভা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পরে তৃণমূল প্রভাবিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে প্রভাতকুমার কলেজে এবং স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে থানাপুকুর এলাকায় সভা হয়। দুরমুঠের কর্মিসভায় চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ফল দেখিয়ে বিরোধীরা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা এক নয়— বুঝিয়ে দেবেন দক্ষিণ কাঁথির জনতা।’’
তবে ওই সভায় শুভেন্দুবাবুর গলায় ছিল অন্য সুর। দক্ষিণ কাঁথি জিতলেও বিজেপি কিছু করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপি জিতলে তাদের বিধায়ক সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হবে চার। সকলে বিধানসভায় গিয়ে ঘুমোবেন। বামেরা জিতলে তাদের বিধায়ক সংখ্যা হবে ৩৩ থেকে বেড়ে হবে ৩৪। বিধানসভায় চুপ করে বসে থাকবেন। তৃণমূল জিতলে বিধায়ক সংখ্যা হবে ২২১। গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই এলাকার উন্নয়ন চাইলে তৃণমুল প্রার্থীকে জেতান।’’
বামেরাও এ দিন প্রচার সেরেছেন। তবে সভা নয়। কাঁথি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন সিপিআই প্রার্থী উত্তম প্রধান। সঙ্গে ছিলেন সিপিআই রাজ্য কমিটির সদস্য সেফায়েদ হোসেন। ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব তুলে ধরে উত্তমবাবু বলেন, “আমি ঘরের ছেলে। আপনাদের সঙ্গে আছি, থাকবো। তাই ভোটে বামেদের পাশে থাকুন।’’ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এখনও মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সকলেই জোর দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার বা কর্মিসভার উপর। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাবে জনসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy