Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মান নামল ঘাটাল কলেজের, কমল নম্বরও

নাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল)-এর বিচারে মান নামল ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের। এমনকী গতবারের তুলনায় তাদের নম্বর কমেছে বেশ কিছুটা।

ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ভরে রয়েছে আগাছায় (বাঁ দিকে)। নাক-এর পরিদর্শকদের সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া ও শিক্ষকরা (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।

ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ভরে রয়েছে আগাছায় (বাঁ দিকে)। নাক-এর পরিদর্শকদের সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া ও শিক্ষকরা (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৩
Share: Save:

নাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল)-এর বিচারে মান নামল ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের। এমনকী গতবারের তুলনায় তাদের নম্বর কমেছে বেশ কিছুটা।

২০০৬ সালে প্রথম নাক পরিদর্শনের পর ঘাটাল কলেজ পেয়েছিল ‘বি ডবল প্লাস’ গ্রেড। এ বার ওই গ্রেড কমে হয়েছে ‘বি’ গ্রেড। গতবার কলেজের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২.৭৫। এ বার তা কমে হয়েছে ২.৪৫! স্বাভাবিক ভাবেই কলেজের এমন ফলে হতাশ শিক্ষক-পড়ুয়া সকলেই।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৫৫টি কলেজের মধ্যে ঘাটাল কলেজের স্থান এখনও প্রথম সারিতেই। এখানে তিনটি বিভাগের প্রায় সমস্ত বিষয়ই পড়ার সুযোগ রয়েছে। প্রায় ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রীও রয়েছে। সঙ্গে কলেজে চারটি বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রিও পড়ানো হয়। এত কিছুর পরেও নাকের বিচারে কলেজের মান কমে যাওয়ায় উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটাল কলেজের এক শিক্ষকের কথায়, “এখানে পড়ার বদলে রাজনীতিকেই এখন বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন পরে গত বছরই একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ কলেজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি।” ঘাটালের এক বাসিন্দার প্রশ্ন, “কলেজে নতুন বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীও অনান্য কলেজের তুলনাই বেশি। কিন্তু এমন ফলই চোখে আহুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কলেজের পড়া কেমন হয়!’’

কলেজ সূত্রে খবর, নতুন ভবন তৈরি হলেও এখনও স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়নি। পুরনো পদ্ধতিতেই কলেজে ক্লাস নেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাকের সদস্যরা। বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের কোনও ব্যবস্থাই নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের সিংহভাগই এখনও ইংরেজিতে দুর্বল। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব থাকা সত্ত্বেও নতুন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম চালু করায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

ঘাটাল কলেজের টিচার-ইনচার্জ লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “২০১১ সালেই নাকের স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েই পরিদর্শন করিয়েছেন। আমাদের মান কমার বিষয়টি পরিচালন কমিটিতে আলোচনা হবে। সমস্যা কাটিয়ে কলেজকে কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার পরিকল্পনা করা হবে।’’

‘এ’ গ্রেড পেল তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যলয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: ‘নাক’-এর মূল্যায়নে ‘এ’ গ্রেড কলেজের স্বীকৃতি পেল তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয়। কলেজের শিক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো, ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠন, গবেষণার সুযোগ, খেলাধুলার পরিকাঠামো সহ সার্বিক মুল্যায়নের পর এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলেজের সার্বিক মূল্যায়নের জন্য নাক-এর পরিদর্শক দল গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেন। শুক্রবার নাক’এর তরফে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিতকুমার বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতিতে আমরা খুশি। কলেজের সার্বিক পরিকাঠামো ও ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠনের আরও মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী বছর আমাদের কলেজ আরও ভাল ফল করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ghatal Rabindra Satabarsiki Mahavidyalaya NAAC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE