Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মানসের কর্মসূচিতে গরহাজির অমূল্যরা

২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতিতে গত ৫জুলাই সবংয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন। সেই উপলক্ষ্যে কর্মীদের খাওয়াদাওয়ার জন্যই রবিবার সবংয়ের তেমাথানির গেস্ট হাউসে মিলন উৎসবের আয়োজন ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০১:১৮
Share: Save:

নতুন-পুরনো বিবাদ মেটাতে বারবার বৈঠক করেছেন জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু ফের বেআব্রু হল সবংয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। এ বার বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার উদ্যোগে যুব তৃণমূলের মিলন উৎসব বয়কট করলেন ব্লকের পুরনো তৃণমূল নেতারা।

২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতিতে গত ৫জুলাই সবংয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন। সেই উপলক্ষ্যে কর্মীদের খাওয়াদাওয়ার জন্যই রবিবার সবংয়ের তেমাথানির গেস্ট হাউসে মিলন উৎসবের আয়োজন ছিল। সভাও হয়। মানসবাবু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা যুব সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, ব্লক যুব সভাপতি আবু কালাম বক্স, নেতা স্বপন মাইতি প্রমুখ। পিংলা, ডেবরা ও নারায়ণগড় থেকে যুব নেতারা এসেছিলেন। কিন্তু দেখা যায়নি ব্লকের পুরনো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। ছিলেন না তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি ও জেলা কর্মাধ্যক্ষ তথা সবংয়ের নেতা অমূল্য মাইতিও। পরিস্থিতি বুঝে মঞ্চে বিধায়ক মানসবাবু বলেন, “প্রভাতবাবু চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য ব্লকের বাইরে রয়েছেন। আর অমূল্য মাইতি ফোনে বললেন, জরুরি কাজে মেদিনীপুরে রয়েছেন। তাই ওঁরা আসতে পারেননি।”

তবে এই ব্যাখ্যাতেও দ্বন্দ্ব চাপা থাকছে না। মানসবাবু-সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে বছর ঘুরতে চললেও সবংয়ে পুরনো-নতুন বিবাদ মেটেনি। দিন দু’য়েক আগে দোভোগে অঞ্চল কমিটির বৈঠকে দু’পক্ষের গোলমাল বেধেছিল। তৃণমূলের ওই অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি অজিত চৌধুরীর সঙ্গে অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ সাঁতরার চেয়ারে বসা নিয়ে অশান্তি হয়। মানস অনুগামী অজিতবাবু তখন ব্লকের পুরনো তৃণমূল কর্মী নারায়ণবাবুকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। মানসবাবুকে জানালেও মীমাংসা হয়নি। তাই এ দিনের মিলন উৎসব বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন। সে কথা মেনে অমূল্যবাবু বলেন, “নারায়ণ সাঁতরাকে যে ভাবে অজিত চৌধুরী হেনস্থা করেছেন, তা জেনেও মানস ভুঁইয়া গুরুত্ব দেননি। বলেছেন, ছোট ঘটনা। তাছাড়া মানস অনুগামী ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পুরনো কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই মিলন উৎসবের আয়োজন করেছেন। তাই আমরা পুরনো কর্মীরা যাইনি।” যদিও যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স বলেন, “দেভোগের ছোট্ট ঘটনা না মিটিয়ে অমূল্যবাবু জিইয়ে রেখেছেন। তবে মানসদা এসেছিলেন। তারপরে কে এল, কে গেল, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য বক্তব্য, “২১ জুলাইয়ের পরে আমরা প্রতিটি ব্লকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব। সবংয়ে সমস্যা থাকলে তা মেটানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manas Bhunia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE