সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
নিয়ম মাফিক অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছিলেন, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকাও জমা দিয়েছিলেন। তবু নাম ওঠেনি স্নাতকস্তরে ভর্তির ‘প্রভিশনাল লিস্ট’-এ।
শুক্রবারই ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে স্নাতকস্তরে ভর্তি সংক্রান্ত ওই তালিকা। কিন্তু তাতে প্রায় ২০০ আবেদনকারীর নাম নেই। শনিবার সকলেই খোঁজ নিতে এসেছিলেন কলেজে। কিন্তু কলেজ ছুটি। তাই কাউকে পাওয়া যায়নি। বেজে গিয়েছে ‘হেল্পলাইন’ নম্বর, ফোন ধরেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তও।
এ সবের মধ্যেই আসরে নামেন টিএমসিপি-র ক্ষমতাসীন ছাত্র সংসদের সদস্য ও জেলা নেতারা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদনপত্র ও ‘পে-স্লিপে’র প্রতিলিপি সংগ্রহ করে রাখেন তাঁরা। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয়েছে ছাত্র সংসদের দেওয়া একটি পোস্টারকে ঘিরে।
ছাত্র সংসদের তরফে একটি হেল্পলাইন পোস্টার দেওয়া হয়েছে। সেখানে চারটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয়েছে, ভর্তি ও মেধা তালিকা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে ওই নম্বরে অথবা ছাত্র সংসদ অফিসে যোগাযোগ করতে। অথচ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, ছাত্র সংগঠনের কারও নাম বা ফোন নম্বর দিয়ে হেল্পলাইন করা যাবে না।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “প্রভিশনাল লিস্টে নাম ওঠেনি বলে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এ দিন কলেজে অভিযোগ জানাতে আসেন। গ্রীষ্মাবকাশের জন্য কলেজ বন্ধ থাকায় এবং কলেজের হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। অযথা হয়রানির হাত থেকে রেহাই দিতেই চারটি নম্বর দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এটা মোটেই হেল্পলাইন নয়।” কিন্তু টিএমসিপি-র তরফে মেধাতালিকা সংক্রান্ত এমন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া তো নিয়ম বিরুদ্ধ? সে প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি সজল।
টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, “এটা উচিত হয়নি। খোঁজ নিচ্ছি।”
প্রশ্ন উঠছে কলেজের ভূমিকা নিয়েও। গরমের ছুটি থাকলেও অফিস খোলা রাখার কথা। কেন অফিস বন্ধ ছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি। কেন কলেজের হেল্পডেস্ক নম্বর কেউ ধরেননি? রাত পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সে প্রশ্নেরও জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy