ভোট মিটে গিয়েছে মাস দেড়েক আগে। ফলপ্রকাশের পর শুক্রবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথগ্রহণ করেছে। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের অভিযোগ অব্যাহত। এ বার ঘাটালের চাঁইপাট কলেজে ছাত্র সংসদের ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র বিরুদ্ধে। এসএফআই সমর্থক ছাত্রদের মারধর থেকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একমাত্র চাঁইপাট কলেজেই ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় রয়েছে এসএফআই।
গতবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনে চাঁইপাট কলেজে জয় পায় এসএফআই। কলেজে গোলমালের কারণ কী? উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এখন কলেজে প্রথম বর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। এ বার অনলাইনেই ভর্তির ফর্ম পূরণ করেছেন পড়ুয়ারা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেরই পড়ুয়ারা ভর্তি হওয়ার জন্য কলেজে আসবেন। এসএফআইয়ের এক সূত্রে খবর, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে এসএফআইকে দূরে রাখতেই আগেভাগে ছাত্র সংসদ তালা লাগিয়ে দেওয়া হল।
কলেজের এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বেরার অভিযোগ, “তৃণমূল সমর্থক বহিরাগত যুবকেরা দিনে-দুপুরেই আমাদের মারধর করছে। এখন কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তির ফর্ম পূরণ চলছে। কলেজে ঢুকতে না পারায় সংগঠনের একাধিক সদস্য ফর্ম পূরণ করতে পারছে না।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওরা সংসদ অফিসেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা লিখিত ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।” কলেজের টিএমসিপি নেতা প্রণব মাঝি বলেন, “ফর্ম পূরণ সঠিক ভাবেই চলছে। কলেজে ঢুকতেও কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। এসএফআই পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।”
এ নিয়ে টিএমসিপি-র জেলা কাযর্করী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “সিপিএম ও এসএফআইকে আর মানুষ সহ্য করতে পারছে না। ফলে এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়েছে। তার ভয়েই এসএফআইয়ের ছেলেরা কলেজে আসছে না। অযথা আমরা মারধর করব কেন।” কলেজের টিচার-ইন-চার্জ দেবাশিস সর্দার বলেন, “কলেজ ক্যাম্পাসে একটা গণ্ডগোলের আবহ তৈরি হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে।” পরিস্থিতি সামালাতে শুক্রবার কলেজে পুলিশ পিকেটও বসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy