Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ইসমাইল ধরা না পড়ায়, ক্ষোভ

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ইসমাইলের একাধিক ডেরার খোঁজ মিলেছে। সাদা পোশাকের পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। আশা করা যায় অভিযুক্তকে দ্রুত ধরতে পারব।’’

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০০:৪৬
Share: Save:

ভাইপো, ভাইঝিকে পুড়িয়ে মারার চারদিন পরেও গ্রেফতার করা যায়নি অভিযুক্ত কাজি ইসমাইলকে। পুলিশের দাবি, খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে ইসমাইল। তবে সে কথা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে কী ভাবে ইসমাইল পালিয়ে গেল, তা নিয়েই ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ইসমাইলের একাধিক ডেরার খোঁজ মিলেছে। সাদা পোশাকের পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। আশা করা যায় অভিযুক্তকে দ্রুত ধরতে পারব।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ইসমাইল কখন গ্রামে ঢুকেছিল, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং কখন গ্রাম ছাড়ে সে সব তথ্য পুলিশের হাতে আছে। এখন তার মোবাইলের সূত্র ধরে সন্ধান চালানো হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুন্দরপুর গ্রামে সৎ ভাইপো-ভাইঝিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে কাজি ইসমাইলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আশঙ্কজনক তার বৌদি ফতেমা বিবি, কলকাতায় চিকিৎসাধীন। ওই রাতে ইসমাইল অন্য পড়শিদের দরজাতেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল, যাতে সাহায্য করতেও কেউ বাড়ির বাইরে না বেরতে পারে। এমন নৃশংস ঘটনা এর আগে ঘাটালে ঘটেনি বলে স্থানীয়দের দাবি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই একটা বিবাদ চলছিল কাজি হাসেম আলির সঙ্গে তাঁর সৎ ভাই ইসমাইলের। হাসেম আলি কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন। তাঁর বড় ছেলেও থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। শনিবার তাঁরা গ্রামে ফিরেছেন। রবিবার হাসেম আলি বলেন, “আমার একটাই আর্জি অভিযুক্তদের পুলিশ দ্রুত ধরুক। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য বড় ছেলেকে নিয়ে আমার নতুন লড়াই শুরু হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE