উৎসব: শোভাযাত্রায় ছৌ। রয়েছেন জেলাশাসক, সভাধিপতি। নিজস্ব চিত্র
লোকশিল্পের ছোঁয়া রেখেই শুরু হল তৃণমূল সরকারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। শনিবার দুপুরে মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে থেকে চারটি সুসজ্জিত ট্যাবলো বেরোয়। ট্যাবলোর আনুষ্ঠানিক ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অজিত মাইতি, জেলার তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার প্রমুখ। ট্যাবলোয় কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজশ্রী প্রভৃতি প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে লোকশিল্পীরা অনুষ্ঠানও করেছেন।
সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী এক মাস ধরে জেলায় নানা কর্মসূচি চলবে। এই সময়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ট্যাবলো। প্রত্যেক দিন অন্তত তিনটি এলাকায় ট্যাবলো দাঁড়াবে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। জেলার তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যাদেবী জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লক-শহরে এই এক মাসে ২২৮টি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূল সরকারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদ্যাপন এ বার হবে দু’টি পর্যায়ে। প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠান হবে ২০ মে থেকে ২০ জুন। যা শনিবার থেকে শুরু হল। দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান হবে ২৭ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত। আগামী জুনে তিনদিনের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ বার খড়্গপুরে হওয়ার কথা। ‘একতাই সম্প্রীতি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এ বার বর্ষপূর্তি পালন হচ্ছে।
এ দিন যে চারটি ট্যাবলো বেরোয় সেখানে বিভিন্ন বার্তা রয়েছে। সব ট্যাবলোতেই লেখা রয়েছে, ‘‘আসুন সবাই মিলে শপথ করি, গর্বের বাংলা গড়ি’। বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সরকারের সাফল্যের দিকগুলো আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে এমন উদ্যোগ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
বর্ষপূর্তি পালনের সূচনায় এ দিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে থেকে এক পদযাত্রাও বেরোয়। লোকশিল্পীরাও এতে সামিল হন। প্রতিদিন অন্তত যে তিনটি এলাকায় ট্যাবলো দাঁড়াবে, সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এক ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে থাকবে আদিবাসী নৃত্য, ছৌ নৃত্য, বাউল সঙ্গীত প্রভৃতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy