পাশে: মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে জখম বিজেপি কর্মী। নিজস্ব চিত্র
‘‘ভোটের সময় গণতন্ত্রের লড়াই। ভোটের পর আবার লড়াই কীসের? আর কতদিন আমরা মার খাবো ? এখানে কি বিজেপির কর্মীরা নেই? দিল্লি থেকে সব নজর রাখছি। এভাবে চললে আমরাও চুড়ি পরে বসে থাকব না।’’
কাঁথির দাউদপুরে প্রহৃত বিজেপি কর্মী বুদ্ধদেব মাইতিকে দেখতে এসে রবিবার এই ভাষাতেই শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির। বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতাদের পাশে বসিয়ে এদিন দলের কর্মীদের তিনি জানান, দেশের অধিকাংশ রাজ্যে এখন বিজেপি ক্ষমতায়। দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপির ভোট ৭ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশ হয়েছে। দল এখানে চতুর্থ থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘এভাবে বাড়লে আজ নয় কাল, বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসবেই। মুখ্যমন্ত্রীও বিজেপির হবে। আর এখানকার দিদি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তখন দিদা হয়ে যাবেন। তাই আপনারা ভয় পাবেন না।’’
শুধু তৃণমূল নয়, এদিন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসলেরও সমালোচনা করেন তিনি। পুলিশের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন বুদ্ধদেববাবুকে মারধরের ঘটনায় এফআইআর নেওয়া হয়নি। রবিবারের মধ্যে অভিযোগ না নিলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। যদিও সভার শেষে বুদ্ধদেববাবু বলেন, ‘‘শনিবার রাত আটটা নাগাদ কাঁথি থানা অভিযোগ নিয়েছে।’’
দাউদপুর থেকে হংসরাজ হেড়িয়াতে যান। সেখানে স্থানীয় বুদ্ধিজীবি, স্কুলশিক্ষক এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবেই কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
শাসকদলকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি নিয়ে সাংসদ
তথা জেলা তৃণমূল সম্পাদক দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “মানুষই আমাদের আসল ক্ষমতা। ওরা বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরেছে। রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে না পেরে এবার ক্ষমতা দেখিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাঁথির মানুষই তার বিচার করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy