ফাইল চিত্র।
পরীক্ষার ৩৭ দিনের মাথায় বিএ, বিএসসি, বিকম অনার্স পার্ট থ্রি- র ফলপ্রকাশ করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, এত কম সময়ের মধ্যে আগে কখনও ফলপ্রকাশ হয়নি। বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলপ্রকাশ করেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী।
রঞ্জনবাবুর কথায়, “পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর ছুটির দিনগুলোতেও কাজ করেছে। না- হলে এই কাজ তুলে আনা সম্ভব হত না। এটা দেখে অন্য দফতরগুলোরও শেখা উচিত। গত বছর ৪৮ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ হয়েছিল। এ বার ৩৭ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ হল।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সুব্রতকুমার দে বলছিলেন, “কম সময়ের মধ্যে ফলপ্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য। সেই কাজটাই করা হয়েছে। আজ একটা ইতিহাস সৃষ্টি হল।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, এ বার পার্ট থ্রি পরীক্ষায় বসেছিলেন ১২,৯২১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫,৫৮২। ছাত্রী ৭,৩৩৯। ছাত্রদের পাশের হার ৯৩.৪৬ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৫.৯৩ শতাংশ। বিএসসি-তে পাশের হার ৯৫.১৫ শতাংশ। বিএ-তে ৯৬.২৮ শতাংশ। বিকম-এ ৯৪.৫৬ শতাংশ।
এ দিন দুপুরেই ওয়েবসাইটে ফল দিয়ে দেওয়া হয়। সব কলেজে মার্কশিটও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলপ্রকাশে বিলম্বের অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষ করে স্নাতকোত্তর ও দূরশিক্ষায় দেরিতে ফলপ্রকাশের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই ওঠে। দেরিতে ফলপ্রকাশ হলে সমস্যায় পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম পার্ট থ্রি-র ফলপ্রকাশ করল। এত তাড়াতাড়ি ফলপ্রকাশের ফলে খাতা দেখায় ত্রুটির সম্ভাবনা নেই তো? উপাচার্য রঞ্জনবাবুর জবাব, “এ সব ভুল ধারণা। নির্ভুল ফলই প্রকাশিত হয়েছে। এ বার যে মার্কশিট দেওয়া হল তাও সর্বাধুনিক। এখানে বার-কোড সহ নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় রয়েছে। ফলে, এই মার্কশিট নকল করা অসম্ভব।” রিভিউয়ের ফলও যাতে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশিত হয়, সেই নির্দেশও দেন উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy