Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কর্মশালায় লগ্নির প্রস্তাব জেলায়

চেষ্টা হলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে বিনিয়োগকারীদের তেমন সাড়া মেলেনি। শিল্পের চাকায় গতি আনতে এ বার শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে কর্মশালা হল মেদিনীপুরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:০১
Share: Save:

চেষ্টা হলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে বিনিয়োগকারীদের তেমন সাড়া মেলেনি। শিল্পের চাকায় গতি আনতে এ বার শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে কর্মশালা হল মেদিনীপুরে। ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে হয়রানি থেকে পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কথা উঠে এল কর্মশালায়। সমাধানের আশ্বাসও দিলেন প্রশাসনের কর্তারা। কর্মশালা থেকেই ৬০-৭০ কোটি টাকার লগ্নির প্রস্তাব এসেছে বলে দাবি।

রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর মানস ভট্টাচার্যের কথায়, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ হচ্ছে। এ দিন বেশ কিছু সমস্যার কথা উঠে এসেছে ঠিকই তবে সেই সব সমস্যার সমাধানের পথ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য এবং উদ্যোগ দফতরের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বুধবার মেদিনীপুরের প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে কর্মশালার আয়োজন হয়। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের এই কর্মশালা ও পরিষেবা প্রদানমূলক অনুষ্ঠান ‘সিনার্জি’-তে ছিলেন জেলার শিল্পমহলের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন বণিকসভার কর্তারা।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য এবং উদ্যোগ দফতরের ডিরেক্টর বিজয় ভারতী, জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজকুমার মিদ্যা, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার দেবব্রত রায়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মশালা চলে।

কর্মশালায় শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান। বেশির ভাগ শিল্পোদ্যোগীদের কথাতেই উঠে এসেছে ব্যাঙ্কের হয়রানির কথা। সীমারানি মাইতি নামে এক শিল্প উদ্যোগী বলেন, “তাঁর সফ্‌ট টয়েস-এর কারখানা তৈরির ইচ্ছা রয়েছে। প্রকল্পও তৈরি করেছেন। প্রকল্পের জন্য গত নভেম্বরে ঋণের আবেদন করলেও এখনও পাননি।”

বিজয় ভারতীও স্বীকার করেন, “ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে স্বীকার করছি। সমস্যা নজরে এলে উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হয়।” মঞ্চেই ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। তিনি জেলার লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) শক্তিপদ পড়িয়াকে বিষয়টি দেখার পরামর্শ দেন। শক্তিপদবাবুর আশ্বাস, “এ ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

জমি, বিদ্যুতের মতো পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও উঠে আসে কর্মশালায়। জেলা প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য দাবি করেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে জমি, বিদ্যুতের কোনও সমস্যা নেই। শিল্পের জন্য পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। রাজ্য সরকার যে লগ্নিবান্ধব, এ দিনের কর্মশালায় তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা দাবি করেন, এই সময়ের মধ্যে সরকারি নিয়মকানুন অনেক শিথিল করা হয়েছে। এরফলে, লগ্নির পথ প্রশস্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Investment Crore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE