Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রোপচারে লক্ষ্মী এল নয়াগ্রামের হাসপাতালে

এরপরই স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হয়। চিকিত্সক ও কর্মীও পাঠানো হয়।

নবজাতক: নয়াগ্রাম হাসপাতালে সদ্যোজাতের সঙ্গে চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

নবজাতক: নয়াগ্রাম হাসপাতালে সদ্যোজাতের সঙ্গে চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০৫
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বৃহস্পতিবার নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ‘সিজার’ করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা চালু হল। এ দিন সিজার করে দু’টি সদ্যোজাতের প্রসব করানো হয় এই হাসপাতালে।

লক্ষ্মীপুজোর দিনে স্থানীয় বেড়াজাল গ্রামের কবিতা ভুঁইয়ার সিজার করে একটি কন্যাসন্তান হয়। নার্সরা শিশুটির নামকরণ করেন ‘লক্ষ্মী’। পরে মরাপদা গ্রামের সুস্মিতা সিংহ নামে এক প্রসূতির সিজার করে একটি পুত্রসন্তান হয়। হাসপাতাল কর্মীরা শিশুটির নাম দেন ‘কার্তিক’। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৪ জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ থাকলেও এতদিন সিজার করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা ছিল না। অভাব ছিল প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের। সিজারের ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক মাস আগে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি থেকে এক প্রসূতিকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে রেফার করে দেওয়া হয়। ওই প্রসূতিকে দেরিতে রেফার করার ফলে মৃত সন্তান প্রসবের অভিযোগ ওঠে। ঝাড়গ্রাম জেলাসদর থেকে নয়াগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি। এলাকা থেকে ভসরাঘাট হয়ে মেদিনীপুর শহরের দূরত্ব ৬০ কিমি। ফলে দুঃস্থ সাধারণ বাসিন্দাদের পক্ষে দূরের হাসপাতালে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে নতুন ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়েছে। নয়াগ্রামে সিজারিয়ান বিভাগ চালু হলেও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এখনও সিজার করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটিতে গত বুধবার থেকে ইউএসজি পরিষেবা চালু হয়েছে। নয়াগ্রামেও আজ, শুক্রবার থেকে ইএসজি পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব অনিল বর্মা ঝাড়গ্রাম জেলার তিনটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছিলেন। নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটিতে সিজার ও প্রয়োজনীয় কিছু বিভাগ চালু না থাকায় বিরক্ত হন সচিব। এরপরই স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হয়। চিকিত্সক ও কর্মীও পাঠানো হয়।

ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি বলেন, “কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে এতদিন নয়াগ্রামে সিজার চালু করা যায়নি। এ দিন ওই পরিষেবা চালু হল। গোপীবল্লভপুরে চলতি মাসের শেষের দিকে সিজার বিভাগ চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ওই দু’টি সুপার স্পেশ্যালিটিতে
চোখের অপারেশনও হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চাওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Newborn Doctor সদ্যোজাত
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE