Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জ্বরে আক্রান্তের মৃত্যু ডেবরায়

জ্বরে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডেবরার সত্যপুরে। মৃতের নাম অরিন্দম পাত্র (২১)। দিন কয়েক ধরে এই যুবক চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

জ্বরে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডেবরার সত্যপুরে। মৃতের নাম অরিন্দম পাত্র (২১)। দিন কয়েক ধরে এই যুবক চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার ডেবরার ওই এলাকায় যায় মেডিক্যাল টিম। জানা গিয়েছে, এই যুবকের রক্তের প্লেটলেট কমে গিয়েছিল। সাধারণত, ডেঙ্গি হলেই এটা হয়। সত্যপুরের ওই বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য ভবন। এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। তিনি বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। ডেবরার ওই এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। সব দিক দেখা হচ্ছে।” ওই যুবকের রক্তের প্লেটলেট কি নেমে গিয়েছিল? গিরীশচন্দ্রবাবুর জবাব, “এ নিয়ে এখনই কিছু বলব না।”

জেলা স্বাস্থ্য ভবনের এক সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্মী বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ওই যুবক কবে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁর কী কী উপসর্গ ছিল, কী কী পরীক্ষা হয়েছিল, এই সব জানার চেষ্টা করেন। জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তা মানছেন, “হাসপাতালে গিয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করতেই হবে। এ দিন দফতরের কর্মীরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।” জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “যে এলাকায় ওই যুবকের বাড়ি সেই এলাকায় সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না তাও দেখা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “মূলত ডেঙ্গির ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে, কী ভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে, সাবধানতার জন্য কী কী করা প্রয়োজন, এ দিন থেকে তাও ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে জানানো হচ্ছে।” এই মরসুমে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ে। শহর থেকে গ্রাম- সব এলাকাতেই মশাবাহিত এই রোগ হানা দেয়। এ বার জেলায় বহু মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। জেলা স্বাস্থ্য ভবনের এক সূত্রে খবর, এখনও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন। জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় বেশি ঠিকই, তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই! যে সব এলাকায় জ্বর হয়েছে, সেখানে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখা হয়েছে।”

জেলার এক স্বাস্থ্য-কর্তা মানছেন, “ডেবরার ওই যুবকের মৃত্যু দুঃখজনক। মেডিক্যাল কলেজ থেকে জানানো হয়েছে, ওই যুবক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। তাও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এখনও জেলার বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় জ্বর- সর্দি- কাশির প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ফের নতুন করে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এই শীতেও যে ভাবে ডেঙ্গি থাবা বসাচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন জেলার একাংশ স্বাস্থ্য- কর্তা। জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তার বক্তব্য, “মানুষ সচেতন না- হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন। ডেঙ্গির মশা জলে জন্মায়। বংশবৃদ্ধি করে। তাই কোনও জায়গায় জল জমতে দেওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি, মশার কামড় এড়াতে শুধু রাতের বেলা নয়, দিনের বেলাতেও শোয়ার সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত। এটা বুঝতে হবে!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

boy died high fever
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE