প্রতিরোধ: দুষ্কৃতীদের রুখতে তৈরি পাঁশকুড়ার দক্ষিণ সাগরবাড় গ্রামের মহিলারা। ছবি: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
নির্বাচন চলার মাঝপথেই সোমবার বন্ধ গিয়েছে ভোটপ্রক্রিয়া। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডবের। এবার সেই বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বঁটি হাতে রাস্তায় নামলেন কোলাঘাটের দক্ষিণ সাগরবাড় গ্রামের মহিলারা। আর লাঠি হাতে তাঁদের সঙ্গী হয়েছেন পুরুষেরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা। কারণ, পূর্ব মেদিনীপুরে একমাত্র এখানেই এখনও পর্যন্ত আসন ধরে রেখেছে জাতীয় কংগ্রেস। তাই ওই এলাকা শাসক দল তৃণমূলের নজরে ছিল বলেই দাবি জেলা নেতৃত্বের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ সাগরবাড়ের দু’টি বুথে সোমবার তাণ্ডব চালায় বাইক বাহিনী। বিরোধী এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সকাল ৮টা থেকে প্রথমে পদমপুর বুথে এবং তারপর বড়দানানকার ও দক্ষিণ সাগরবাড় বুথে বাইক বাহিনী ছাপ্পাও দেয়। শেষমেশ ওই দিন বিকালে ব্যালট বাক্স জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এতে বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া।
আজ বুধবার ওই দুই বুথে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফের হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় এ দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, এ দিনও গ্রামে বাইক বাহিনীকে দেখা গিয়েছে। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। ফের সন্ত্রাস চালাতে পারে তৃণমূল— ওই আশঙ্কায় গ্রামবাসীদের এই চরম সিদ্ধান্ত।’’
এই বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সুরজিৎ মাইতি বলেন, ‘‘পুনর্নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস চালালে গ্রামবাসীরাই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করাতে প্রশাসন ব্যর্থ।’’
সুরজিৎবাবুর কথায়, ‘‘তৃণমূল যদি রাজ্যে এতই উন্নয়ন করে থাকে তা হলে এত ছাপ্পা ও সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হল কেন?’’
কংগ্রেসের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সভাপতি তরুণ ঘোড়াই বলেন, ‘‘তৃণমূল কোনও সন্ত্রাস করেনি। কংগ্রেসই ভয় পেয়েই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy