হঠাৎ যদি বুথে ঢুকে পড়ে সাপ! কী করবেন ভোটকর্মীরা? ভোট সামলাবেন, নাকি সাপ তাড়াবেন! ভোটকর্মীরা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন সে জন্য এ বার বুথে থাকবে কার্বলিক অ্যাসিড।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ বুথেই এ বার কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল রাখা থাকবে। সাপ ঢুকে পড়লে এই অ্যাসিড ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভোটকর্মীদের। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, “জেলার বেশ কিছু এলাকায় সাপের উপদ্রব রয়েছে। যখন- তখন সাপ বেরিয়ে পড়ে। এ বার অনেক বুথেই অন্য সরঞ্জামের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিডের বোতলও থাকবে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
ভোটকর্মীদের সঙ্গে পেন, পেনসিল, গালা, সেলোটেপ-সহ নানা সরঞ্জাম দেওয়া হয়। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে কর্বোলিক অ্যাসিডও। কিন্তু এত বুথের জন্য তো প্রচুর কার্বলিক অ্যাসিড প্রয়োজন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বোতল কার্বলিক অ্যাসিড কেনা হচ্ছে। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “অনেক বোতল চলেও এসেছে। সেইগুলি ব্যাগের মধ্যে ঢোকানো শুরু হয়েছে।” জেলা প্রশাসনের ওই আধিকারিক বলেন, “কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল এ বারই প্রথম দেওয়া হচ্ছে। ভোটকর্মী এবং ভোটারদের বিপদমুক্ত রাখতে এই ব্যবস্থা।” শুধু বুথে নয়, যে সমস্ত
স্কুলবাড়িতে ভোটকর্মীরা থাকবেন, প্রয়োজনে তার চারদিকেও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব রয়েছে। বিশেষত কেশপুর, ডেবরা, খড়্গপুর গ্রামীণ, গড়বেতা, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকায়। বছর দেড়েক আগে সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছিল গোয়ালতোড়ের বছর ষোলোর এক কিশোরীর। গত বছর সাপের কামড়ে কেশপুরের ঝেঁতল্যায় মৃত্যু হয়েছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “সাপের কামড়ের প্রতি মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সতর্ক থাকতেই হবে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই ওই ব্যবস্থা।”
ভোটের দিন কত হ্যাপাই না পোহাতে হয় ভোটকর্মীদের। তাই অন্তত সাপের উপদ্রব থেকে তাঁদের নিশ্চিন্ত রাখতে সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy