Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সংঘর্ষের শেষবেলা

বিজেপির অভিযোগ, গোয়ালতোড়ের ভুলা ও খড়কাটা গ্রামে তাদের দুই কর্মী অভিজিৎ বালা ও নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়িতে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে।

কর্মীকে উদ্ধার ঘাটালে। ছবি— কৌশিক সাঁতরা।

কর্মীকে উদ্ধার ঘাটালে। ছবি— কৌশিক সাঁতরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০১
Share: Save:

সিপিএমের পর এ বার বিজেপি। গড়বেতায় রবিবার এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও দিবাকর ভুঁইয়াকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার মনোনয়নের দিন বিজেপি অভিযোগ করল, তাদের প্রার্থীদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, করা হয়েছে মারধরও। যদিও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আদালতের নির্দেশে একদিন মনোনয়নের দিন বেড়েছে। বেশি সংখ্যক আসন প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিল বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন গড়বেতা ১ ব্লক অফিসের সামনে তাদের কর্মীরা মনোনয়ন পেশ করতে গেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা স্বদেশ রানা অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের নেতা সনৎ সিংহকে মারধর করেছে তৃণমূল।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গড়বেতা ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সিপিএমের সঙ্গে মিলে বিজেপির মনোনয়ন পেশ করা মানুষ মানতে চাইছে না।’’

উত্তেজনা ছিল রবিবার রাত থেকেই। বিজেপির অভিযোগ, গোয়ালতোড়ের ভুলা ও খড়কাটা গ্রামে তাদের দুই কর্মী অভিজিৎ বালা ও নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়িতে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে। বিজেপির তোলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এসব বস্তাপচা অভিযোগ। লোক পাচ্ছে না বলে বিজেপি এসব অভিযোগ করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে আটকানো হয়নি।’’

কার দখলে থাকবে দেওয়াল তা নিয়ে রবিবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয় চন্দ্রকোনা রোডের মালিডাঙায়। সংঘর্ষে বিজেপির মনু দাস এবং তৃণমূলের সন্তু মাহালি ও অমিত পাল নামে দুই কর্মী আহত হন। তাঁদের রাতেই স্থানীয় দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মনুর অভিযোগ, ‘‘রবিবার রাত ৮ টা নাগাদ আমরা যখন মালিডাঙার একটি দেওয়ালে লিখছিলাম সেইসময় তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করে।’’ চন্দ্রকোনা রোডের তৃণমূল নেতা আকাশদীপ সিংহের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিজেপির লোকেরা আমাদের ঘেরা দেওয়াল জোর করে লিখছিল। আমরা বাধা দিলে মারধর করা হয়। আমাদের ২ জন কর্মী জখম হন।’’ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ দিন রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

এ দিন ক্ষীরপাই ব্লক অফিসে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুশান্ত মণ্ডল। অভিযোগ, মনোনয়নে বাধা দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সুশান্তবাবু প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।

ঘাটালে বিডিও অফিসে ঢোকার আগেই বিরোধী প্রার্থী-প্রস্তাবকদের মারধর, মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘাটালের বিধায়ক তৃণমূলের শঙ্কর দোলই বলেন, “আমরা মনোনয়নে কাউকেই বাধা দিইনি।দলের পক্ষ থেকে এদিন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।ফলে বিডিও অফিসে যায়নি দলের কর্মী-সমর্থকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Nomination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE