জেলার এক মাত্র কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। তবে সেখানেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২১ ডিসেম্বর সবং বিধানসভার উপ-নির্বাচনে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উত্তেজনাপ্রবণ বুথগুলো চিহ্নিত করে কোথায় কত বাহিনী থাকবে তার প্রাথমিক পরিকল্পনাও হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই সবংয়ে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতে পারে। তার পর রুট মার্চ শুরু হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
গত নির্বাচনেও সবংয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। ওই ভোট পর্বে জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে এক জনেরই মৃত্যু হয় এবং তা সবংয়েই। খুন হন তৃণমূলকর্মী জয়দেব জানা। উপ-নির্বাচনের আগেও বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আস্থা রাখছেন বিরোধীরা। সবং উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারকে চিঠিও লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের তরফে প্রভাকর তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদার এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে একই দাবি জানান। পরে জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘কমিশনকে অনুরোধ করেছি, যাতে গোটা বিধানসভা এলাকা নাকাবন্দি করা হয়।’’ সবংয়ের সিপিএম প্রার্থী রিতা জানা মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাতে হবে।’’
যদিও তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার স্বামী, সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘সন্ত্রাস তো রাজস্থানে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কি সন্ত্রাস বলে?’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, “শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী এলেও বিজেপি চতুর্থ হবে!”
যে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তার মধ্যে ৪ কোম্পানি সিআরপি, ৪ কোম্পানি এসএসবি। ১ কোম্পানিতে ৭২ জন জওয়ান থাকেন। সবংয়ের ৩০৬টি বুথের মধ্যে ১৩৬টি উত্তেজনপ্রবণ। উত্তেজনাপ্রবণ প্রতিটি বুথে ৪ জন করে জওয়ান থাকবেন। ভোটের আগে থেকে ৮টি জায়গায় নাকা হবে। ৩টি ফ্লাইং স্কোয়াডও চক্কর কাটবে। এ ছাড়া, ভোটের সবংয়ে ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার ১৯ জন পুলিশ আধিকারিক, এসআই-এএসআই পদমর্যাদার ৮০ জন আধিকারিক থাকবেন। আর পুলিশকর্মী থাকবেন সব মিলিয়ে ১,০৬২ জন। এর মধ্যে ৫২০ জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy