পরিবারের সায় ছিল না। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাই প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল। তারপর নাবালিকার পরিবার বছর চব্বিশের ওই যুবক ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। গ্রেফতার হন বাবা। আর তারপরই নিউ দিঘার হোটেলে মিলল ওই প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার দিকসাল গ্রামের প্রদীপ নায়ক (২৪) ও সানবালিসাইয়ের পৌলমী রাউত (১৭)-এর দেহ রবিবার উদ্ধার হয়েছে নিউ দিঘার হোটেলে। প্রদীপ-পৌলমীর মৃত্যুর পরে আর অপহরণের অভিযোগ খাটে না। তাই পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোর আগেই সোমবার প্রদীপের বাবা রাজকুমার নায়ককে ফের কাঁথি আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু এক ল ক্লার্কের মৃত্যুতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায় রাজকুমারবাবুর হয়ে কেউ জামিনের আবেদন জানাননি। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠান। ফলে, ছেলের শেষকৃত্যেও থাকতে পারেননি রাজকুমারবাবু। প্রদীপের জেঠু উত্তম নায়ক বলছিলেন, ‘‘ভাই জেলে। ভাইপোও মরে গেল। ভাইয়ের স্ত্রী উমাকে সামলানোই এখন মুশকিল।’’
প্রদীপ ও পৌলমীর সাত মাসের সম্পর্ক কারও পরিবারই মানেনি। তাই যুগলে পালায়। ১৬ মার্চ বিকেলে টিউশনে যাবে বলে বেরিয়ে পৌলমী আর বাড়ি ফেরেনি। তার বাবা গৌতম রাউত ১৭ মার্চ রামনগর থানায় প্রদীপ এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। রবিবার দুপুরে প্রদীপের বাবা রাজকুমার নায়েককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাঁথি আদালতে হাজির করে তিন দিনের জন্য হেফাজতেও নেয়।
প্রদীপ ও পৌলমী পালিয়ে নিউদিঘার বটতলাচকের এক হোটেলে উঠেছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, দুই পরিবারের টানাপড়েনে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তাঁরা। তারপর প্রদীপের বাবার গ্রেফতারের খবর পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ জানলা দিয়ে হোটেলের কর্মীরা দেখেন, সিলিং থেকে প্রদীপের দেহ ঝুলছে। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ওড়নার ফাঁসে ঝুলন্ত পৌলমীর দেহও উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy