মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিকে তেমন বিঁধলেনই না। উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় রইল সিপিএম। অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের আন্দোলনে সিপিএমের ইন্ধন রয়েছে নালিশ করে সোমবার শালবনিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। কাউকে ৩০০, কাউকে ৪০০ টাকা মাইনে দিয়ে রেখে দিয়েছিল। কোনও দিন কিছু করে দেখায়নি। এখন ভুল বোঝাচ্ছে।’’
একাংশ অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীকে বিঁধে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আমার দ্বারা এমন কিছু হবে না যা বেআইনি, যা অন্যায্য। কাজ বন্ধ করে যারা কলকাতায় গিয়ে সিপিএমের কথায় মিছিল করছেন তারা দেখুন দু’কূলই না যায়। আমার যেটুকু কুলোবে আমি তো সেটুকুই করব। যে নেতারা উল্টোপাল্টা বোঝাচ্ছে, ওদের সঙ্গে গেলে কিংবা ওদের কথা শুনলে কিন্তু প্রকল্পটাই বন্ধ হয়ে যাবে।” জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধনের পাশাপাশি সোমবার শালবনিতে প্রশাসনিক সভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। জিন্দল প্রকল্প এলাকাতেই এই সভায় ২৩২টি প্রকল্পের শিলান্যাস, ২৮৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। বিভিন্ন পরিষেবাও প্রদান করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই আমার আইসিডিএস, আশার কর্মীরা ভাল থাকুক। আমি শুনতে পাচ্ছি, আশা-আইসিডিএসের মেয়েদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাদের না কি এই দেওয়া হবে, ওই দেওয়া হবে বলে বলা হচ্ছে। সব মিথ্যা কথা।’’ মমতার কথায়, “আইসিডিএসের প্রকল্প কেন্দ্র সরকার প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। আমাদের টাকা নেই, তাও রাজ্য সরকার প্রকল্পটি চালাচ্ছে। রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিলে এই প্রকল্প চলবে না। আশার প্রকল্পও তাই।”অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আপনারা ভাল ভাবে কাজ করলে আপনাদেরও কোনও না কোনও দিন ভাল সুযোগ আসবে।’’
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আইসিডিএস, আশা কর্মীরা তৃণমূল সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে তৃণমূলের ভোটবাক্সে। সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর ওই সতর্কবার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত ছ’বছরে বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বাংলায় ৮১ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। দিনে দিনে এটা বাড়বে।’’ জনতার প্রতি মমতার বার্তা, “আপনারা ছাড়া আমি শূন্য। আর আপনাদের নিয়েই আমি পূর্ণ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy