প্রচার থেকে জরিমানা— কমছে না রাস্তায়, চলন্ত গাড়িতে মোবাইলে গান শোনা, কথা বলার ‘মারণ নেশা’। মঙ্গলবার ফের মিলল প্রমাণ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে ফোন কানে রেললাইন পেরনোর সময় ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন এক যুবক।
রাম পাল (২৭) নামে ওই যুবককে স্থানীয়েরা বারবার সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, লাইনে হাওড়াগামী ট্রেন আসছে। কিন্তু ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত রামের কানে তা ঢোকেনি। ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। মাথায় আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাস পড়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার অন্তর্তদন্তে জানা গিয়েছে, চালকের মোবাইলে কথা বলাতেই বেধেছিল বিপত্তি। আদতে ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলার মুসাবনির বাসিন্দা রামও পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। আট বছর ধরে পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারে এক আনাজ ব্যবসায়ীর ছোট লরি চালাতেন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে পাঁশ কুড়ার মেচগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রোজকার মতো এ দিনও আনাজ বোঝাই লরি নিয়ে পাঁশকুড়ায় গিয়েছিলেন রাম। সকাল ৮টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডের কাছে গাড়ি রেখে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন পেরিয়ে তিনি পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় সেই লাইনে আসছিল মেদিনীপুর-হাওড়াগামী ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীরা তখন রামকে সাবধান করেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
পরে খবর পেয়ে পাঁশকুড়া জিআরপি ওই যুবকের দেহ ও পাশে পড়ে থাকা মোবাইল উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী বাপ্পাদিত্য পাণিগ্রাহী বলেন, ‘‘যুবক মোবাইলে কানে লাইন পেরোচ্ছিলেন। সাবধান করেছিলাম। উনি লাইন থেকে সরেননি।’’
এই ধরনের ঘটনার জন্য মানুষের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করে পাঁশকুড়া জিআরপি’র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মোবাইল কানে লাইন পারাপার নিষিদ্ধ। এ নিয়ে সতর্ক করা হয়। ’’ ওই আধিকারিকের আক্ষেপ, ‘‘ফুট ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের একাংশ তা ব্যবহার করেন না। রেললাইন দিয়েই যাতায়াত করেন। এতেই দুর্ঘটনা ঘটছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy