শ্রদ্ধা: খড়্গপুরের মন্দিরতলা শ্মশানে চাচার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করে প্রণাম পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
গত বছরেও ছবিটা ছিল অন্য। প্রতিবারের মতো প্রিয় চাচাকে ভালবাসা জানাতে খড়্গপুরের গোলবাজারে কংগ্রেস কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন বহু লোক। আন্তরিকতার কাছে হার মেনেছিল দলীয় সঙ্কীর্ণতা। এ বার চাচা নেই। রয়েছে তাঁর ছবি। গোলবাজারের দলীয় কার্যালয়ে খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত জ্ঞান সিংহ সোহনপালের সেই ছবিতেই মালা দিয়ে বৃহস্পতিবার চাচার ৯৩তম জন্মদিন পালন করলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
চাচার জন্মদিনে পুরসভার পক্ষ থেকে খড়্গপুরের মন্দিরতলা শ্মশানে এ দিন একটি স্মৃতিসৌধেরও আবরণ উন্মোচন হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রীতা শর্মা, কংগ্রেসের শহর সভাপতি অমল দাস, সিপিএম নেতা অনিল দাস, চাচার ভাইপোর স্ত্রী ধরমজিৎ কৌর প্রমুখ।
গত বছর ৮ অগস্ট কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় নবতিপর চাচার। গত ৯ অগস্ট মন্দিরতলা শ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চাচার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সেই সময়েই শ্মশানে চাচার স্মরণে স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছিল পুরসভা। গত ডিসেম্বর মাসে বোর্ড মিটিংয়ে সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরেই কাজ শুরু করে পুরসভা।
এ দিন পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “চাচা ছিলেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে। চাচার মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ওঁর পরিবারের পাশে ছিলাম। চাচার নামে স্মৃতিসৌধ গড়ার কথাও হয়। সেই সৌধেরই আবরণ উন্মোচন হল। এই অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ফের চাচার জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিল। আমি চাই ভোটে লড়াই হলেও উন্নয়নমূলক কাজে এ ভাবেই সব রাজনৈতিক দল একসাথে কাজ করুক।”
এ দিন কংগ্রেসের শহর সভাপতি অমল দাস বলেন, “পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। নেতা অনেকেই হন। কিন্তু জননেতা সকলে হতে পারেন না। চাচা ছিলেন জণগনের নেতা। তাই রাজনীতি ভুলে আজ সকলের উপস্থিতি চাচার সেই ভাবনাকেই সম্মান জানাল বলেই মনে করছি।” এ দিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের ফল বিতরণ করা হয়। সন্ধেয় শহরের ভবানীপুরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy