জমায়েত: জামবনি থানার সামনে। —নিজস্ব চিত্র।
আরও বড় জায়গার জন্য জামবনি থানা সরানোর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নাপসন্দ একাংশ বাসিন্দার। থানা সরানোয় আপত্তি জানিয়ে মঙ্গলবার জামবনি থানার সামনে জমায়েত করেন বাসিন্দারা। পরে থানার ইনস্পেক্টর অরুণ বাগদির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বেও থানাটিকে অন্যত্র সরানোর তোড়জোড় চলছে। প্রাক স্বাধীনতা আমলের থানাটি স্থানান্তর করার চেষ্টা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন “জামবনিতে মডেল থানা ভবন হবে। কোথায় হবে তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশি পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে। ৩ একর জমি প্রয়োজন। একটি জমি প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’’
বর্তমানে ঝাড়গ্রাম-জামবনি পিচ রাস্তার একেবারে ধরে জনবহুল এলাকায় রয়েছে জামবনি থানা। জায়গাটি অপরিসর। থানা ভবন ও পুলিশ ব্যারাক সম্প্রসারণের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত জায়গার অভাবে সেখানে নির্মাণকাজ সম্ভব নয়। তাই অন্যত্র থানা ভবন তৈরির জন্য জমি খুঁজছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, এখন যেখানে থানা আছে সেখান থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে চিল্কিগড়ে নতুন থানা ও পুলিশ ব্যারাক তৈরির জন্য তিন একর জমি পাওয়া গিয়েছে। চিল্কিগড়ের ওই এলাকাটি জামবনির ব্লক-সদর গিধনি, জেলা সদর ঝাড়গ্রাম এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক যাওয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থল। এবং জমিটিও তুলনামূলভাবে উঁচু। প্রশাসনের একাংশ আবার চাইছেন,থানাটি ব্লক সদর গিধনিতে হোক। জামবনি ব্লক অফিসও রয়েছে গিধনিতে।
এ দিকে, থানা অন্যত্র সরানো হবে এমন খবর এলাকায় চাউর হয়ে গিয়েছে। এরপরই এ দিন সকালে কয়েকশো বাসিন্দা থানার সামনে জমায়েত করেন। তবে থানার জায়গা বদলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন একাংশ বাসিন্দা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘পুরনো আমলের সব কিছু কি এক রকম থাকে। মানুষের প্রয়োজনেই পরিবর্তন জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy