আনিসুর রহমানকে পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ওই কথা জানিয়ে বলেন, আনিসুরকে যে পদ্ধতি সরিয়েছে প্রশাসন, তা পুর আইন মেনে হয়নি। আনিসুরের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, হাইকোর্ট এ কথা জানিয়ে দেওয়ার পরে তাঁর মক্কেলের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে অসুবিধে হবে না।
আদালতের রায়ের পর আনিসুরের প্রতিক্রিয়া, “সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থনে গণতান্ত্রিক ভাবে পুরপ্রধান হয়েছিলাম। পুর দফতর যে অসাংবিধানিক ভাবে আমাকে সরিয়েছিল, তা প্রমাণিত হল আদালতের রায়ে।” রায়ের প্রেক্ষিতে বর্তমান পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পেলে মন্তব্য করব। তবে পাঁশকুড়ায় তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ। দলীয় কাউন্সিলরেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”
সরকারি নিয়মভঙ্গের অভিযোগে গত ২৩ নভেম্বর পুরপ্রধান পদ থেকে সরানো হয় আনিসুরকে। পর দিন ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব নেন তৃণমূল কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম খান। এর পর গত ১ ডিসেম্বর পুরবোর্ডের সভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নন্দকুমার মিশ্র। এ দিকে পদ থেকে অপসারণের পর রাজ্য পুর দফতরের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান আনিসুর। তৃণমূল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসেপেন্ড হওয়া আনিসুর ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৬ সেপ্টেম্বর পুরপ্রধান নির্বাচনে দলের তরফে প্রস্তাবিত প্রার্থী নন্দকুমার মিশ্রকে ১০-৮ ভোটে হারিয়ে পুরপ্রধান হন তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর আনিসুর। আনিসুরকে সাসপেন্ড করে রাজ্য নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, বুধবার আদালতের নির্দেশের ফলে অস্বস্তি বাড়ল শাসকদলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy