নির্দিষ্ট: মণ্ডপে সেলফি জোন। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
মণ্ডপে জনস্রোত। প্রতিমা দেখার ভিড়ের মাঝেও মোবাইল ক্যামেরায় নিজস্বী তোলার হিড়িকের অন্ত নেই। কেউ দাঁড়িয়ে পড়ছে প্রতিমার সামনে, কেউ আবার মণ্ডপ সজ্জাকে পিছনে রেখে নিজস্বী তুলছেন। তাতে ভিড়ের চাপ আরও বাড়ছে। মণ্ডপ চত্বরে পা রাখাই হয়ে উঠছে দায়।
কলকাতা থেকে জেলা, চতুর্থী-পঞ্চমী থেকেই এই ছবি। নিজস্বী-র ভিড় সামলাতে বিপাকে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পরিস্থিতি দেখে কলকাতার কিছু মণ্ডপে পুলিশ মাইকে প্রচার শুরু করেছে। রয়েছে হুঁশিয়ারিও— মণ্ডপের ভিতরে নিজস্বী তুললে বাজেয়াপ্ত করা হবে মোবাইল। মেদিনীপুরে অবশ্য কিছু উদ্যোক্তা নিজেরাই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন মণ্ডপের নির্দিষ্ট অংশে রাখা হচ্ছে ‘সেলফি জোন’। অর্থাৎ সেখানে নিজস্বী তোলায় বাধা নেই।
শহরের গোলকুয়াচক সর্বজনীনের মণ্ডপের দু’দিকে ‘সেলফি জোন’ রাখা হয়েছে। এখানে মণ্ডপ সেজে উঠেছে নানা রঙের বাহারি ফুলে। থিমের নাম ‘রংবাহারে’। সঙ্গে রয়েছে নকশা করা ঘট। ‘সেলফি জোন’-এও এ সব রাখা হয়েছে। গোলকুয়াচক সর্বজনীনের উদ্যোক্তা দীপঙ্কর ষন্নিগ্রাহী বলছিলেন, “এখন সকলের হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। সবাই সেলফিতে বুঁদ। কিন্তু মণ্ডপের মধ্যে সেলফি তুললে প্রচুর ভিড় হবে। আবার দর্শকদের না-ও করা যায় না। তাই পৃথক সেলফি জোন রাখা হয়েছে।” রাঙামাটি সর্বজনীনের উদ্যোক্তা সোমনাথ সাউ আবার জানালেন, নিজস্বী তোলার জন্য মণ্ডপের মধ্যে যাতে অতিরিক্ত ভিড় না হয় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। অশোকনগর সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা কল্যাণময় ঘোষের কথায়, “সেলফি তোলাটা এখন হিড়িক, এটা আনন্দেরও। এটা বন্ধ করা কঠিন।”
ষষ্ঠীতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সুহিতা কুণ্ডু, স্নিগ্ধা দাস, অনন্যা সরকার। পুজো দেখতে দেখতেই চলেছে সেলফি-গ্রুপফি তোলা। সুহিতা বলছিলেন, “পুজো দেখতে বেরিয়ে সেলফি তুলব না এটা হয় না কি!” স্নিগ্ধার কথায়, “স্মার্টফোনে ফ্রন্ট ক্যামেরা থাকেই তো সেলফি-গ্রুপফি তোলার জন্য। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও তো ছবি দিতে হবে।” মণ্ডপে আলাদা ‘সেলফি জোন’ থাকায় সকলের সুবিধাই হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy