কলকাতার শহরতলি কেষ্টপুরে সন্ধ্যায় তরুণীকে ধাওয়া করেছিল কয়েকজন যুবক। দৌড়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছিলেন তিনি। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকে ভরদুপুরে রাস্তায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল।
ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভব্য আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপরই অভিযুক্ত যুবক তাকে চড় মারে বলে অভিযোগ। সবশেষে রাস্তায় ফেলে শ্লীলতাহানি। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনায় শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক শোয়েব খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা নেই। প্রায়ই শহরের নানা জায়গায় অভিযান চলে।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ টিউশন শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ভীমার বাজার এলাকায় একটি গলি দিয়ে যাওয়ার সময় শোয়েব ছাত্রীর উদ্দেশে অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তার গালে চড় মারে ওই যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে সে। মারধর করে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানি করা হয়। এ সব দেখে এক ব্যবসায়ী সহ কয়েকজন বাসিন্দা ছুটে এলে শোয়েব পালিয়ে যায়। স্থানীয়েরাই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান।
ওই কিশোরীর বাবা তমলুক থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘‘মেয়ে টিউশন সেরে ফেরার পথে ওই যুবক প্রকাশ্য রাস্তায় অভব্য আচরণ করেছিল। যেভাবে দিনের বেলায় এই ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা আতঙ্কিত।’’
শহরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগের। এমন ঘটনা বন্ধ করতে পুলিশ–প্রশাসন ও অভিভাবক-সহ শহরের বাসিন্দাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে শহরের একটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। মহিলাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছিল। ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাদের অভিভাবকদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy