শুভেন্দু অধিকারী।
ক’দিন আগেই খুন হয়েছেন এলাকার উপ-প্রধান নান্টু প্রধান। অভিযোগ উঠেছে, চাষজমি জোর করে ভেড়িতে বদলের চেষ্টা করতে গিয়েই সংঘর্ষে মরতে হয়েছে তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতাকে। সেই জনরোষের তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেও ভগবানপুরে নান্টুর স্মরণসভায় এসে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বললেন, ‘‘বিগত দিনে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, যেগুলো মানুষ পছন্দ করে না, সেই ভুল থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ যা চাইবে তাই করতে হবে। মানুষ যা চাইবে না, তা থেকে আমরা দূরে থাকব। দিদির এটাই সাংগঠনিক নির্দেশ।’’
শনিবার স্মরণসভায় এই কথাগুলো নান্টুর ভাই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পিন্টু প্রধানকে উদ্দেশ্য করেই বলেন শুভেন্দু। মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পিন্টু ভাইদের বলব, জনগণ যা চায় না, তা করা যাবে না।’’
নান্টু খুনের পরই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, সিপিএম ও বিজেপি এই কাজে জড়িত। এ দিনও সিপিএম-কে একহাত নিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলছেন, নান্টু প্রধানের মৃত্যুতে নাকি জনরোষে মৃত্যুর শুরু হয়েছে। এরপর নাকি এমএলএ, এপি, মন্ত্রীরা জনরোষে মারা যাবেন। ঠান্ডা ঘরে বসে ওঁরা এ সব বলতে পারেন। কিন্তু এখানে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দলের অস্তিত্ব নেই। আমি সিপিএম এবং বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে একটি প্রার্থী দিয়ে দেখান।’’
নান্টু খুনে জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে নান্টুর এলাকা মহম্মদপুরে পঞ্চায়েতে জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল পিছিয়ে পড়তে জানে না। মহম্মদপুর ১, ২ এবং গুরগ্রামে বুক চিতিয়ে লড়ে জিততে হবে।’’
নান্টুর বাবা চাঁদহরি প্রধান এক সময় পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। এখন সেই পদে আছেন নান্টুর স্ত্রী অপর্ণা। এ দিন তাঁদের উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, ‘‘এখানকার পঞ্চায়েতে বকেয়া কাজ করতে হবে। চাঁদহরিবাবুকে বলব আপনি আবার নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূলকে এগিয়ে দিন। নান্টুর স্ত্রীকেও বলছি, আপনি শোক ভুলে আবার জনগণের জন্য কাজ করুণ। আপনার সঙ্গে আমরা সবাই আছি।’’ নান্টুর স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীপুরে বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, ভগবানপুরে বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, ভগবানপুরে তৃণমূল নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy