Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তার শিলান্যাসে এসে কেন্দ্রকে দুষলেন শুভেন্দু

তমলুক ব্লকের রাজনগর হাইস্কুল মাঠে সোমবার এক অনুষ্ঠানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ ঠাকায় ২৪টি রাস্তা পাকা করার কাজের শিলান্যাস করেন শুভেন্দুবাবু।

প্রকল্পের উদ্বোধনে পরিবহণমন্ত্রী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

প্রকল্পের উদ্বোধনে পরিবহণমন্ত্রী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ কমানো নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

তমলুক ব্লকের রাজনগর হাইস্কুল মাঠে সোমবার এক অনুষ্ঠানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ ঠাকায় ২৪টি রাস্তা পাকা করার কাজের শিলান্যাস করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও আবাস যোজনায় বর্তমানে রাজ্য সরকার ৭৫ শতাংশ টাকা দেয়। কেন্দ্র দেয় ২৫ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর নামে এই দুই প্রকল্প হলেও সেখানে কেন্দ্র আর্থিক বরাদ্দের হার কমিয়ে দিয়েছে। তাই রাজ্য সরকার এই দুই প্রকল্পের নাম বাংলা সড়ক যোজনা এবং বাংলা আবাস যোজনা করেছে।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আচ্ছে দিনের শ্লোগান দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে মাসিক ভাতা প্রাপকের তালিকা থেকে রাজ্যের আড়াই লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গরিব মানুষের কাছে এটাই কি আচ্ছে দিনের নমুনা!’’ তিনি জানান, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নাম ভাতা তালিকা থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি নজরে আসায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়ে এর জন্য ২৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। সবাই যাতে ভাতা পান তার ব্যবস্থা করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উঊন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ কমালেও কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথী প্রকল্প সহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষদের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে কৃষক ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন।’’ রাজ্যের আরও উন্নয়নের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার জন্য রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলই, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক উজ্জ্বল সেনগুপ্ত প্রমুখ।

তবে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ অনুষ্ঠানের জন্য, নির্ধারিত সময়ের আগে সকালে স্কুলে ক্লাস নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার উপর অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই তারস্বরে মাইক বাজানোর জেরে মাঝপথে স্কুল ছুটি দেওয়া হয় বলে বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE