অবশিষ্ট: বাড়িতে পড়ে বোমার অংশ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
বাড়ির কচিকাঁচাদের সঙ্গে ব্যস্ত ছিলেন মানকুমারী ঘোষ। হঠাৎ প্রচণ্ড আওয়াজ। মুহূর্তে ধোঁয়ায় ভরে গেল ঘর। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসতের বিজেপি প্রার্থী মানকুমারীদেবী টের পেলেন, শুরু হয়েছে বোমাবাজি।
অভিযোগ, সোমবার রাতে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর তিনটি বোমা পড়ে মানকুমারীদেবীর বা়ড়ির উঠোনে। কারা করল বোমাবাজি? প্রাক্তন ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত। যদিও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নির্দিষ্ট কারও নাম করেননি তিনি। মানকুমারী বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ফোনে হুমকি দিচ্ছিলেন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করলে বাড়িতে বোমা মারা হবে বলে হুমকিও দিচ্ছিলেন। আশঙ্কা সত্যিই হল। আমাকে প্রাণে মারতেই বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে।”
বোমাবাজিতে কেউ আহত হননি। তবে খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় জড়ো হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। পৌঁছয় পুলিশ। ধীরে ধীরে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
গত শুক্রবার চন্দ্রকোনা রোডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘মারের বদলে মার দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পর দিনই শীতল মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। এ বার খোদ প্রার্থীর বাড়িতে বোমা পড়ল। বিজেপি নেতা ধীমান কোলে বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।” তৃণমূলের চন্দ্রকোনা রোড ব্লক সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বোমা নিয়ে রাজনীতি করি না। নয়াবসতে বোমা মারার ঘটনা বিজেপির কোন্দলের ফল।”
২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন মানকুমারীদেবী। এলাকায় সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন। তবে সরাসরি রাজনীতিতে এই প্রথম। মানকুমারীদেবী জানান, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। পুলিশ অবশ্য আশ্বস্ত করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy