মঞ্চে: মেদিনীপুরের সভায় প্রাক্তন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
তাঁকে ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। মেদিনীপুরের এক সভা থেকে বিজেপিকে এমন হুঁশিয়ারিই দিলেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “ডানহাত মন্ত্রী আর বাঁহাত এমএলএ, এটা প্রভাব নয়। আসল প্রভাব এই এতগুলো মানুষ। ২২ মাস জেলখাটা একটা অপরাধীর, একটা কয়েদির বক্তব্য শুনছেন এত লোক, এর থেকে বড় প্রভাব আর কিছু হয় না। সব থেকে বড় প্রভাব হচ্ছে গণদেবতা।” তারপরেই তাঁর সংযোজন, “কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? একটা কথা বলে যাই কেন্দ্রীয় সরকারকে— মিনিস্টার ইজ এ টেম্পোরারি পোস্ট, বাট এক্স-মিনিস্টার ইজ এ পারমানেন্ট পোস্ট। এটাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এটা ভারতবর্ষের সংবিধানে, বাংলার ইতিহাসে লেখা হয়ে গিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের এক সভা ছিল। বকেয়া ডিএ প্রদান, ঠিকাকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, বদলিনীতির সুষ্ঠু প্রণয়ন-সহ বিভিন্ন দাবিতে আয়োজিত এই সভাতেই বিজেপিকে বেঁধেন প্রাক্তন পরিবহণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “বাঁচালে পার্টি বাঁচাবে, মানুষ বাঁচাবে। পার্টি থাকলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেত্রী। আমরা সকলে কর্মী।” বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে মদন বলেন, ‘‘গাঁধীজি মারা যাওয়ার সময় বলেছিলেন, হে রাম। উনি কি সেই রামের কথা বললেন যে রাম ৬ ডিসেম্বর তলোয়ার নিয়ে বাবরি মসজিদ ভাঙতে যাবে? গাঁধীর রাম আর আজকের রাম-সীতা প্রাইভেট লিমিটেড, এই দু’টোতে গুলিয়ে ফেলবেন না।”
তাঁকে ২২ মাস জেলে আটকে রেখেও একটা টাকা উদ্ধার হয়নি জানিয়ে মদনের আরও মন্তব্য, ‘‘কী করবে, আবার জেলে পাঠিয়ে দেবে? দিল্লি ভুলে গেছে বাঙালির ছেলেরা নিজেদের কীর্তির পরিচয় রেখে গেছে। বাংলাকে হাল্কা ভাবে নেবেন না। যো বাংলা সে টকরায়ে গা, উয়ো চুরচুর হো যায়ে গা।” তারপরে তাঁর সংযোজন, ‘‘এখন তো অনেকেই ট্রেলার দেখাচ্ছে। ওরা জানেন না, ট্রেলারের পরে সিনেমাটা আমিই দেখাবো। কোনও চিন্তা নেই। এটা এমন একটা গাছ, এখানে দু’-একটা পাতা ঝরে গেলে কিছু এসে যায় না। এটা বটগাছ। বটবৃক্ষের নাম হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy