নিজস্ব চিত্র
জাল নোটের রমরমা কারবার ছিলই এ বার চোরাইবাইক কেনাবেচার সঙ্গেও জড়িয়ে গেল মালদহের বৈষ্ণবনগর এবং কালিয়াচকের নাম।
সোমবার থেকে ফরাক্কার বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ৬টি চোরাই মোটরবাইক-সহ দু’লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ। এ ব্যাপারে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সকলেরই বাড়ি হয় বৈষ্ণবনগর না হয় কালিয়াচকে।
গত জুন মাসেও তিন দিনের অভিযানে ফরাক্কায় উদ্ধার হয় ১৫টা চোরাই মোটরবাইক। সমস্ত বাইকই ঝাড়খণ্ড ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে আনা। ফরাক্কায় বহুদিন থেকেই চোরাইবাইকের আনাগোনা রয়েছে। তবে জাল টাকার কারবারিরাই যে এই কারবারে জড়িত তার প্রমাণ আগে পায়নি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার ফরাক্কায় উজ্জ্বল মন্ডল ও আনিকুল শেখ নামে দু’জনকে পুলিশ আটক করে। তাদের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগর চর এলাকায়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে এক লক্ষ টাকার জাল নোট। আটক করা হয় দু’টি বাইক। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় দুটি বাইকই চোরাই। এতে যে নম্বর প্লেট রয়েছে সেগুলি দুটি লরির নম্বর। এরপরেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় আরও তিন জন ফরাক্কায় জাল টাকা নিয়ে আসবে কোনো একটি জায়গায়। সেই কথা মত সন্ধ্যেয় ফরাক্কায় হানা দেয় পুলিশ। তিন জনের কাছে মেলে এক লক্ষ টাকার জাল নোট।
ফরাক্কার একদিকে কালিয়াচক, অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড। আর পূর্বে বৈষ্ণবনগরের বিস্তীর্ণ চর এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম। এই ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগেই চুরি যাওয়া বাইক এসে ভিড়ছে ফরাক্কার গ্রামাঞ্চলে। ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে সেগুলি ব্যবহার করছে।
ফরাক্কার আই সি উদয়শঙ্কর ঘোষ জানান, মঙ্গলবারের ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেও ফরাক্কার দু’টি জায়গায় তল্লাশি চালাতে প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। সেখানে জাল টাকা ও চোরাই বাইক রয়েছে। এই কারণেই ধৃতদের পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy