Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Panchayat Poll

কেউ ছুড়ছে বোমা, কেউ মারছে লাঠি

রবিবার রাতে রেজিনগর থানার কাশীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় সংঘর্ষে জখম হন তৃণমূলের তিন জন। তাতে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেসের চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ১৩:০২
Share: Save:

কোথাও তৃণমূল আক্রান্ত, অভিযুক্ত কংগ্রেস। আবার কোথাও বিজেপি আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মার-পাল্টা মারের রাজনীতি অব্যাহত।

রবিবার রাতে রেজিনগর থানার কাশীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় সংঘর্ষে জখম হন তৃণমূলের তিন জন। তাতে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেসের চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর অভিযোগ, কাশীপুর পঞ্চায়েতের ৯৫ নম্বর বুথের প্রার্থী সেরিনা বিবির হয়ে স্থানীয় মণ্ডলপাড়ায় প্রচার সেরে ফিরছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সময়েই তাঁদের উপরে আচমকা হামলা চালায় কংগ্রেসের মদতে পুষ্ট দুষ্কৃতীরা। তারা প্রথমে ইটবৃষ্টি শুরু করে। পরে লাঠি-রড-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মণ্ডলপাড়া বুথ কমিটির সভাপতি মেহের আলি মণ্ডল এবং নার্গিস বিবি ও আতিকুর শেখ নামে দুই কর্মী আহত হন। তাঁদের রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে কাশীপুরের বিদায়ী কংগ্রস পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল মণ্ডল ছাড়াও ফকির আহমেদ, আসিফ হোসেন ও আবদুল আলিম নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জামিনে মুক্তি পায়। সোমবার বহরমপুরে সিজেএম আদালতে তোলা হলে প্রথম দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে, বাকি দু’জন জামিনে ছা়ড়া পেয়েছেন। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর অবশ্য দাবি করেন, ‘‘রবিবার ভোট প্রচারের নামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কংগ্রেসের লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের বাহিনী। আমাদের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।’’

রবিবার রাতেই বগুলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বর্ণালী বিশ্বাসের বাড়ির দেওয়ালে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্ণালীর বাড়ি কলেজপাড়ায়। ওই রাতে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং ছিল। তাঁদের অভিযোগ, সেই সুযোগে রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির পিছন দিকের দেওয়ালে বোমা মারা হয়। যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি। হাঁসখালির তৃণমূল ব্লক সভাপতি কল্যাণ ঢালি পাল্টা বলেন, ‘‘ডাহা মিথ্যা কথা। নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে পুলিশে জানাচ্ছেন না কেন?’’

সুতির হিলোড়া গ্রামে বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুজিত দাসের বাড়িতেও হামলা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সুজিতের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় এক তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে এসে দাবি করেন, বিজেপির এক জন রাস্তায় তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। এই নিয়ে তর্ক বাধতেই শতাধিক তৃণমূল সমর্থক বাড়়ির সামনে জড়ো হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। ওই বাড়িতে ছিনতাইয়ের আসামিদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করতে থাকেন তাঁরা। আহিরণ ফাঁড়ি থেকে চার গাড়ি পুলিশ আসে। কিন্তু তারা উল্টে ছ’জন বিজেপি কর্মীকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশের বক্তব্য, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ছ’জনকে ধরা হয়েছে।

শমসেরগঞ্জে চাচন্ড পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী আনজেরা খাতুনের অভিযোগ, রবিবার মাঝরাতে তাঁর বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা চালায় সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাড়া-পড়শি ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। সিপিএম অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE